শেষ আপডেট: 4th August 2024 10:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই ডিভিসি জল ছাড়ছে বলে শনিবার নবান্ন থেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এভাবে না জানিয়ে জল ছাড়ার ফলে জেলায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছিল।
তবে নবান্নের ওই আপত্তি প্রকাশের পর ২৪ ঘণ্টাও পেরাল না। নতুন করে আরও ১.২০ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার কাজ শুরু করল ডিভিসি। রবিবার সকাল থেকে দফায় দফায় জল ছাড়াও হচ্ছে।
ইতিমধ্যে গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সবকটি নদীর জলস্তরই বেড়েছিল। গত দুদিন ডিভিসির ছাড়া জলে নদীর জলস্তর প্রায় বিপদ সীমার কাছাকাছি বয়ছিল। ইতিমধ্যে একাধিক এলাকা জলমগ্নও হয়ে পড়েছে। বিঘের পর বিঘের জমির ফসল ইতিমধ্যে জলের তলায় চলে গিয়েছে। এবার ডিভিসি নতুন করে জল ছাড়ার ফলে বাঁকুড়া, দুই মে্দিনীপুর, ঝাড়গর্মা, হাওড়া-সহ একাধিক জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ডিভিসি সূত্রের খবর, রবিবার সকালে মাইথন জলাধার থেকে ছ’হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। অন্যদিকে পাঞ্চেত জলাধার থেকে এদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত নতুন করে ১ লক্ষ ১৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দুটি জলাধারের জল জমা হয় দামোদরের দুর্গাপুর ব্যারাজে। জলের চাপ বেড়ে যাওয়ায় সেখান থেকেও জল ছাড়া শুরু হয়েছে।
রাজ্য সরকারের সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় মজুমদার জানিয়েছেন, যা পরিস্থিতি তাতে দামোদর ব্যারেজ থেকে জল না ছাড়লে ভেঙে যাবে। তাতে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারত।
জানা গেছে, রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ৯২ হাজার ৬৭৫ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। বেলা বাড়লে জল ছাড়ার পরিমাণও বৃদ্ধি পেতে পারে। এদিকে আকাশের মুখ এখনও ভার। নিম্নচাপের পাশাপাশি রয়েছে জোড়া অক্ষরেখার দাপট। নতুন করে বৃষ্টি শুরু হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।