শেষ আপডেট: 18th September 2024 14:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ডিভিসির ছাড়া জলের জন্যই পুজোর মুখে বাংলার জেলায় জেলায় বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হল বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি নিজে মঙ্গলবার ডিভিসির সঙ্গে কথা বলেছিলাম। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছিলাম। ডিভিসি আরও ২ লক্ষ কিউসেক জল ধরে রাখতে পারতো। তবু পরিকল্পিতভাবে জল ছেড়ে বাংলাকে ডোবাল! এটা ম্যান মেড বন্যা।"
এদিন বেলা ১২টা নাগাদ বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হাওড়া হয়ে হুগলিতে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। পুরশুড়ায় যাওয়ার পথে একটি সেতুর ওপরে বহু বানভাসি মানুষকে দেখে গাড়ি থামান। কথা বলেন বন্যা কবলিত মানুষজনের সঙ্গে। এরপরই ডিভিসির বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্ন সূত্রের খবর, পুরশুড়া থেকে খানাকুল হয়ে এদিন মেদিনীপুরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাতে মেদিনীপুরেই থাকবেন তিনি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তিনি যাবেন বন্যা কবলিত ঘাটালে।
গত কয়েকদিনের টানা বৃ্ষ্টি এবং মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে ছাড়া জলের ফলে হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বর্ধমান-সহ দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলায় নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরপরই বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। হাওড়া, হুগলির একাধিক জায়গা পরিদর্শন করেন। টেলিফোনে কথা বলেন জেলা প্রশাসনের সঙ্গে। কোন কোন এলাকা প্লাবিত, জলবন্দি কত মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁদের ত্রাণের ব্যবস্থা-সবকিছুরই খোঁজ নেন।
মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা থেকে মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলাগুলিতে নজরদারির জন্য বিশেষ সচিবদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্লাবন পরিস্থিতির জন্য রাজ্যের ১০ জেলায় ১০ জন সচিবকে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান আলাপন। এবার বন্যা পরিস্থিতি সরোজমিনে খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।