শেষ আপডেট: 23rd September 2024 12:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসিকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দু'বার চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। কারণ, সংঘাতের মধ্যে ফের জল ছেড়েছে ডিভিসি। যদিও আগের তুলনায় কম জল ছাড়া হয়েছে।
রবিবার সকালে মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৩০ হাজার এবং ২০ হাজার কিউসেক। তবে রবিবার রাতে ছাড়া হয় যথাক্রমে ৩০ হাজার এবং ১২ হাজার কিউসেক। বন্যা পরিস্থিতির জেরে এখনও জলের তলায় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার বহু গ্রাম। রবিবার নতুন করে জল ছাড়ার পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতদিন জানা গেছিল, ঝাড়খণ্ডে লাগাতার বৃষ্টির ফলে বেশি পরিমাণ জল ছাড়ছিল ডিভিসি। তবে রবিবার থেকে সে রাজ্যে বৃষ্টি কমেছে। তাই জল ছাড়ার পরিমাণও কমবে আস্তে আস্তে।
ডিভিসির এই জল ছাড়া প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ ছিল, ঝাড়খণ্ডকে বাঁচাতে অপরিকল্পিতভাবে জল ছেড়েছে ডিভিসি। জলধারণ ক্ষমতা আগের থেকে ৩৬ শতাংশ কমে গেছে তাঁদের। ড্রেজিং না করার জন্যই এমন হয়েছে। আর কেন্দ্রীয় সরকার এ ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ নেয় না। মমতা এও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ডিভিসি-র সঙ্গে আগামী দিনে সম্পর্ক রাখবেন না! এরপরই দামোদর ভ্যালি জলাধার নিয়ন্ত্রণ কমিটি (ডিভিসি) থেকে পদত্যাগ করেছেন আইএএস শান্তনু বসু। তাই বিভিন্ন মহলে কৌতূহল তৈরি হয়েছে, সত্যি কি ডিভিসির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?
ডিভিসিকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দু'বার চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক। বলা হয়েছিল, রাজ্যকে না জানিয়ে ডিভিসি জল ছাড়ে না। কিন্তু এর পাল্টা চিঠিতে মমতা জানান, জল ছাড়ার বিষয়ে সতর্কবার্তা তো দূরে থাক, ডিভিসি এক তরফাভাবে সিদ্ধান্ত নেয়।
মোদীকে পাঠানো চিঠিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টা ৩৪ মিনিটে ২.৩ লাখ কিউসেক জল ছাড়ে ডিভিসি। ফের ৫.০২ মিনিটে আরও ২ লাখ কিউসেক, সন্ধে ৬টায় ২ লাখ কিউসেক এবং রাত ১১টা ২০ মিনিটে আরও ২.১ লাখ কিউসেক জল ছাড়ে। এরপর রবিবার ফের জল ছেড়েছে ডিভিসি। এতএব রাজ্যের সঙ্গে তাঁদের 'জল সংঘাত' অব্যাহত রইল।