শেষ আপডেট: 8th October 2024 15:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একাধিক পুজো কমিটি এবছর সরকারের দেওয়া পুজো অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু, শতাংশের দিক থেকে দেখতে গেলে সেই সংখ্যাটা অর্ধেকেরও অর্ধেক। যারা দুর্গাপুজোর অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছে, খানিকটা চাপ এবার সেই ক্লাবগুলোর ঘাড়ে। ঘটনাটা হল এই যে, কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে পুজোর অনুদান ফিরিয়ে দেওয়া ক্লাবগুলো এবার বিদ্যুতের ভর্তুকি পাবে না।
আরজি করের ঘটনার পর অনেকেই দাবি তুলেছিল, এবার পুজোয় সরকারি অনুদান বয়কট করা হোক। কেউ কেউ মনে করেন, সেই দাবি তোলার নেপথ্যে বামপন্থী কিছু সংগঠন ও বিজেপির প্রভাব ছিল। তা ছাড়া শুরুতে একটা-দুটো পুজো কমিটি আনুষ্ঠানিক ভাবে বয়কটের কথা ঘোষণা করার পর সংবাদমাধ্যমেও তা বহুল প্রচার পেয়েছিল।
এই বয়কটের ডাক শেষমেশ কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। বরং উল্টে যে ক্লাবগুলো অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের ঘাড়েই একপ্রকার কোপ পড়ল এবার। অনুদান ফিরিয়ে দেওয়ার ক্লাবের তালিকায় রয়েছে হুগলির বেশ কিছু পুজো কমিটি। তাদের কথা হচ্ছে, সিইএসসি-র পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের অনুদান ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বিদ্যুতের মাশুলে ছাড় মিলবে না। এদিকে কমিটিগুলোকে সিইএসসি-র ধার্য করা বিল জমা দিতেই হবে।
অন্যদিকে প্রশ্ন উঠছে, পুজোর অনুদান তো সরকারি। তাহলে একটা বেসরকারি সংস্থা এহেন সিদ্ধান্ত নিতে পারে কি? যদিও এর পাল্টা উত্তর সিইএসসি এখনও দেয়নি।
গোটা ভজঘট ব্যাপারটার মধ্যে চাপে পড়ে গিয়েছে পুজোকমিটিগুলো। কারণ একদিকে তাদের ৮৫ হাজার টাকাও গেল আবার বিদ্যুতেও ছাড় মিলবে না। কোন্নগরের এক পুজোকমিটির উদ্যোক্তা জানাচ্ছেন, আগেই তাঁরা ১০১০ টাকা জমা করেছিলেন। সেটা ছিল ছাড় সহ। এখন আরও ৩০৩০ টাকা নগদ জমা দিতে বলা হয়েছে। নাকি জানানো হয়েছে কোনও রকম অনলাইন পেমেন্ট করা যাবে না।
শাসকদলের ঘনিষ্ঠ কেউ কেউ বলছেন, উদ্যোক্তারা পুজোর অনুদান না নিয়ে, অথচ বিদ্যুতে ছাড় নিয়ে ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি করতে চেয়েছিলেন।’ আবার একাংশের মতে, সিইএসসি এরকম কিছু ঘোষণা করেছে বলে এখনও কিছু শোনেননি তাঁরা।