শেষ আপডেট: 13th October 2024 15:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পঞ্জিকা মতে, শনিবারই ছিল দশমী। তবে কলকাতা-সহ জেলার অধিকাংশ বাড়ির পুজো বিসর্জন হবে রবিবার। ফলে কলকাতা-সহ রাজ্যের প্রতিটি জেলার নদী ঘাটে পুলিশি নজরদারি চোখে পডার মতো।
দুর্ঘটনা এড়াতে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে বিসর্জনকে ঘাট সাফাইয়ের কাজে রাখা হচ্ছে পুরসভার সাফাই কর্মীদের। রাখা হচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলার টিমকে। সঙ্গে মাঝি ও ডুবুরিদের।
প্রতিমা জলে ফেলার পর কাঠামোগুলি দ্রুত সরিয়ে ফেলার জন্য কলকাতার ক্ষেত্রে নিমতলা, বাজেকদমতলা, গোয়ালিয়র ঘাট ও বিচালিঘাটে চারটি বোট রাখা হচ্ছে।
এছাড়াও বেশি সংখ্যক প্রতিমা বিসর্জন হয়, এমন ১৫টি ঘাটে বাড়তি পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি রাখা হচ্ছে অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা। ডিসি কমব্যাটের নেতৃত্বে রাখা হচ্ছে রেসকিউ টিমও। জোয়ারের সময় গঙ্গায় বেশি জল থাকে। ওই সময় প্রতিনা নিরঞ্জন করতে গিয়ে অতীতে দুর্ঘটনাও ঘটেছে। তাই জোয়ারের সময় যাতে কেউ জলে না নামেন তার জন্য প্রতিটি ঘাটে মাইকিংয়ের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে।
বিসর্জনের শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে শব্দ দূষণ রোধ করতে আগেই ডিজে নিষিদ্ধ করার কথা জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। রাজপথে নজরদারির জন্য শহরের ২৩৮টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বিশেষ পুলিশ পিকেট রাখা হয়েছে। একইভাবে জেলায় জেলায়ও বাড়তি পদক্ষেপ করছে পুলিশ ও পুরসভা। উদ্দেশ্য একটাই, প্রতিমা নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে কোনও দুর্ঘটনা যেন না ঘটে।