মনোরঞ্জন ব্যাপারী।
শেষ আপডেট: 25th January 2025 13:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিনি যে হামেশাই বিমানে চড়েন এমনটা নয়। তবে কাজের তাগিদে এখন মাঝে মধ্যে বিমানে চড়তে হয়। সেই সূত্রে বিমান সম্পর্কে ধারণাটা বদলে গেছে হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর।
রাজনীতির পাশাপাশি লেখালেখির সঙ্গেও যুক্ত বিধায়ক মনোরঞ্জন। হায়দরাবাদে ওয়েষ্টল্যানড প্রকাশনীর একটি সাহিত্য সম্মেলনের জন্য শুক্রবার দুপুরে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ইন্ডিগোর ফ্লাইটে চড়েছিলেন। দুপুর ৩টের ফ্লাইট কলকাতা থেকে উড়েছিল সন্ধে সাতটা নাগাদ! অর্থাৎ কলকাতা বিমানবন্দরেই টানা প্রায় চার ঘণ্টা বিমানে বসে থাকতে হয়েছিল। বিকেল সাড়ে পাঁচটার পরিবর্তে সেই ফ্লাইট হায়দরবাদের মাটি ছুঁয়েছিল রাত প্রায় সাড়ে ন'টায়!
কেন? টেলিফোনে হায়দরাবাদ থেকে দ্য ওয়ালকে মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, "কুয়াশার জন্য ফ্লাইট নির্দিষ্ট সময়ের ঘণ্টাখানেক পরেও ছাড়েনি। এ নিয়ে এক যাত্রীর সঙ্গে এয়ার হোস্টেসদের বচসা শুরু হয়। এমনকী মারামারির পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল। ঝামেলা করার কারণে চার যাত্রীকে বিমান থেকে নামিয়েও দেন এয়ারহোস্টেসরা। সেই সব ঝামেলা মিটিয়ে বিমান যতক্ষণে কলকাতার মাটি থেকে উড়ল, তখন প্রায় সাতটা বাজতে যাচ্ছে। অথচ ছাড়ার কথা ছিল তিনটেয়!"
খানিক থেমে বিধায়কের স্বগোক্তি, "এতে হয়তো বিমানসংস্থা্রও দোষ নেই। বিমানে বসেই দেখা যাচ্ছিল, বাইরে ঘন কুয়াশা। ওদিকে অনেক যাত্রীর তো আগে থেকে গন্তব্যে পৌঁছে নির্দিষ্ট সিডিউলও থাকে। ফলে তাঁদের রেগে যাওয়াটাও স্বাভাবিক।"
চার ঘণ্টা বিমানে বসে থাকার সময়ে সহযাত্রীদের নানা কথা কানে এসেছে বিধায়কের। বলছিলেন, "রেগে গিয়ে অনেকে তো বলছিলেন, এর থেকে ট্রেন অনেক ভাল! বেকার গাদা গাদা টাকা খরচ করে এত দুর্ভোগ সহ্য করা। আর এক যাত্রী তো রসিকতার সুরে বলছিলেন, এতক্ষণ প্লেনে না বসে হাঁটা দিলে হয়তো গন্তব্যে পৌঁছে যেতাম!"
সহযাত্রী কয়েকজনের মতো চিৎকার চেঁচামেচি না করলেও শুক্রবার বিকেলে বিমানে বসেই সোশ্যাল মাধ্যমে নিজের বিরক্তির কথা তুলে ধরেছিলেন বিধায়ক।
বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ নিজের ফেসবুক পেজে থেকে পোস্টে লেখেন, 'কী হবে কিছু বুঝতে পারছিনা ! ফ্লাইটে বসে তো পড়েছি কিন্তু ফ্লাইট আর উড়ছে না। টাইম ছিল তিনটে। কিন্তু এখনও সে ওড়বার কোন লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি না! একযাত্রীর সঙ্গে এয়ার হোস্টেসের কrসব নিয়ে বচসা হল তার ফলে প্লেন যে থেমে গেল- থেমেই গেল!'
রাতে সাড়ে ১০ টা নাগাদ আবার পোস্ট বিধায়কের। যেন যুদ্ধ জয়ের স্বস্তি! তাতে লেখেন, 'অবশেষে এসে গেলাম হায়দরাবাদে!'
শুক্রবার রাতে টেলিফোনে দ্য ওয়ালকে বলছিলেন, "মানুষ সময় বাঁচাতেই তো প্লেনে চড়ে! ভাবুন ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের পথ পেরোতে সময় লাগলো প্রায় সাত ঘণ্টা! যদি দিনের দিন কারও কোনও কাজ থাকে, তাহলে তো সেটা বৃথাই যাবে! নয় কি?"