শেষ আপডেট: 31st July 2020 14:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো : গত সেপ্টেম্বর মাসে রাজস্থানে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন ছয় বিএসপি বিধায়ক। এদিকে বিএসপি নেত্রী মায়াবতী বুধবার জানিয়েছেন, ওই ছয় বিধায়ককে আস্থাভোটে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোট দিতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে বিএসপি বিধায়কদের কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট বিজেপির বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, গত বছর তেলুগু দেশমের চার রাজ্যসভা সদস্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এদিন হিন্দিতে টুইট করে অশোক গেহলোট বলেন, "রাজ্যসভায় টিডিপি-র চার সাংসদ রাতারাতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের যোগ দেওয়া যদি সঠিক কাজ হয়, রাজস্থানে বিএসপি বিধায়কদের কংগ্রেসে যোগ দেওয়া অন্যায় হবে কেন?" বিএসপির ছয় বিধায়ক কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরে অশোক গেহলোটের সমর্থক বিধায়কের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০৭। ২০০ আসনবিশিষ্ট রাজস্থান বিধানসভায় গরিষ্ঠতা প্রমাণ করার জন্য চাই ১০১ জন বিধায়ক। বিএসপি-র ছয় বিধায়ক যদি কংগ্রেসকে সমর্থন না করেন, অশোক গেহলোটের পক্ষে ক্ষমতায় টিকে থাকা মুশকিল হবে। বিজেপি নেতা মদন দিলাওয়ার রাজস্থান হাইকোর্টে অভিযোগ জানিয়েছেন, ছয় বিএসপি বিধায়ক বেআইনিভাবে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। কারণ কংগ্রেস ও বিএসপি, দু'টিই জাতীয় দল। একমাত্র জাতীয় স্তরেই তাদের ঐক্য হতে পারে। ছয় বিধায়কের কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার বিরুদ্ধে পৃথকভাবে হাইকোর্টে আবেদন করেছে বিএসপি-ও। মায়াবতী বলেছেন, তিনি আগেই কোর্টে যেতে পারতেন। কিন্তু তিনি কংগ্রেস ও অশোক গেহলোটকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য সুযোগের অপেক্ষা করছিলেন। বৃহস্পতিবার রাজস্থানে বিধানসভা অধিবেশনের দিনক্ষণ স্থির হয়েছে। অশোক গেহলোটের অভিযোগ, এর পরেই পুরোদমে বিধায়ক কেনাবেচার খেলায় নেমে পড়েছে বিজেপি। বিধায়কদের দলত্যাগের জন্য এখন আরও বেশি দর দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অনুগত বিধায়কদের জয়পুর থেকে সরিয়ে জয়সলমিরে নিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন একটি বিশেষ বিমানে কংগ্রেস বিধায়কদের জয়সলমিরে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৪ অগাস্ট অবধি তাঁরা এক বিলাসবহুল রিসর্টে থাকবেন। ওইদিনই শুরু হবে বিধানসভার অধিবেশন। কংগ্রেস বিধায়কদের জয়সলমিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। রাজস্থানের বিজেপি প্রধান সতীশ পুনিয়া বলেন, "জয়সলমির থেকে পাকিস্তান বেশি দূরে নয়। জয়সলমির থেকে গুজরাতও বেশি দূরে নয়। বিধায়করা কোনদিকে যেতে চান? অশোক গেহলোটের উচিত বিধায়কদের স্বাধীনতা দেওয়া।" গত এক সপ্তাহ ধরে মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভা অধিবেশনের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছিলেন। রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র কয়েকবার অনুরোধ নাকচ করে দেন। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার স্থির হয়, অধিবেশন হবে ১৪ অগাস্ট থেকে। এদিনই মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, কংগ্রেস বিধায়কদের কেনার চেষ্টা করছে বিজেপি। তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে শচীন পাইলটের বিদ্রোহী শিবির। শুক্রবারও তিনি বলেন, "গত রাতে বিধানসভা অধিবেশনের দিন ঘোষণা হওয়ার পরে বিজেপি বিধায়কদের আরও বেশি টাকা অফার করছে। আগে বলা হচ্ছিল, কেউ দল ভেঙে বিজেপির দিকে গেলে প্রথম দফায় দেওয়া হবে ১০ কোটি টাকা। পরের দফায় দেওয়া হবে ১৫ কোটি টাকা। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে, বিধায়করা যত টাকা চাইবেন, তত পাবেন।"