শেষ আপডেট: 30th September 2024 16:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: পুজোর অনুদান নিলে মণ্ডপে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি টাঙাতে হবে। নিদান দিলেন ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। বিধায়ক বললেন, "ছবি টাঙানোয় আপত্তি থাকলে পুজোর অনুদান নেবেন না।"
এই প্রথম নয়, এর আগেও বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে এসেছেন বর্ধমানের ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। কিন্তু তাই বলে সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কি এমন হুঁশিয়ারি দিতে পারেন একজন জনপ্রতিনিধি! উঠেছে সেই প্রশ্ন।
সোমবার ভাতার থানায় মঞ্চ বেঁধে চলছিল পুজো কমিটিগুলিকে পুজোর অনুদান দেওয়ার কাজ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক ব্যানার্জীর পাশে দাঁড়িয়েই চড়া সুরে বিধায়ক নিদান দিলেন, "মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী পুজোর জন্য যে টাকা দিচ্ছেন,তার জন্য তাঁর ছবি যেন প্রতিটি প্যান্ডেলে টাঙানো থাকে। এটা কিন্তু মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে টাকাটা নিচ্ছেন আপনারা। এটা সরকারের টাকা। মুখ্যমন্ত্রী সরকারের লোক। কিন্তু অনেকে টাকাটা নিচ্ছেন,অথচ মুখ্যমন্ত্রীর ছবি টাঙাচ্ছেন না। এটা খুব বাজে জিনিস। না হলে আপনারা টাকাটা নেবেন না। আপনাদের যদি মুখ্যমন্ত্রীর ছবি টাঙাতে অসুবিধা হয় তাহলে আপনারা টাকা নেবেন না।ছবি টাঙাতে অসুবিধা হলে টাকাটা না নেওয়াটাই ভালো। এটা আমার অনুরোধ আপনাদের কাছে। অনেক ক্লাব তো টাকা নিচ্ছে না। আপনারাও নেবেন না।"
বিধায়ক যখন এমন হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তখন মঞ্চে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক ব্যানার্জি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন , ভাতারের বিডিও দেবজিৎ দত্ত, ডিএসপি (ক্রাইম) সুরজিৎ মণ্ডল, সার্কেল ইনস্পেক্টর শৈলেন উপাধ্যায় ও ভাতার থানার ওসি প্রসেনজিৎ দত্ত। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সামনেই বিধায়ক পুলিশ প্রশাসনকে ডিজে ব্যবহার রুখতে সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেন।
বিধায়ক যখন এমন হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তখন মঞ্চে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক ব্যানার্জি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন , ভাতারের বিডিও দেবজিৎ দত্ত, ডিএসপি (ক্রাইম) সুরজিৎ মণ্ডল, সার্কেল ইনস্পেক্টর শৈলেন উপাধ্যায় ও ভাতার থানার ওসি প্রসেনজিৎ দত্ত। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সামনেই বিধায়ক পুলিশ প্রশাসনকে ডিজে ব্যবহার রুখতে সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেন।
বিধায়কের এমন মন্তব্যে জেলাজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু কোনার বলেন, "কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য বা ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য বিধায়ক একথা বলেছেন। এটা একেবারে সাধারণ কথা। এটা তিনি বলতেই পারেন। কারণ তিনি শাসকদলের একজন বিধায়ক।" বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, "সরকার আর দল সব গুলিয়ে ফেলেছেন বিধায়ক। তাই এরকম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পুলিশ প্রশাসনের মঞ্চে বসে তিনি নিয়ম তৈরি করছেন।"