শেষ আপডেট: 30th September 2024 18:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সাগর দত্ত হাসপাতালে চিকিৎসকের উপর হামলার অভিযোগের পর জুনিয়র ডাক্তাররা ফের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। কিন্তু সাগর দত্ত কাণ্ডের যুক্তি শুনতে চাইল না সুপ্রিম কোর্ট। বরং প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডাক্তারদের ওপিডি (আউট পেশেন্ট ডিপার্টেমেন্ট) এবং আইপিডি (ইন পেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট) সার্ভিসে যোগ দিতেই হবে। সেক্ষেত্রে সিনিয়র-জুনিয়র আলাদাও করেননি প্রধান বিচারপতি। চিকিৎসক মানে সবাইকেই বুঝিয়েছেন।
এদিন সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময়ে জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহকে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন করেন, “ডাক্তাররা কি কাজে যোগ দিয়েছেন?” ইন্দিরা জয়সিংহ বলেন, “হ্যাঁ জুনিয়র ডাক্তাররা সবাই ইমার্জেন্সি সার্ভিসে যোগ দিয়েছেন”।
প্রধান বিচারপতি তা শুনে বলেন, “আপনি আমার কথার উত্তর দিন। আমার কথা পরিষ্কার। ডাক্তাররা কি ওপিডি ও আইপিডি সার্ভিসে যোগ দিয়েছেন?” তা শুনে ডাক্তারদের আইনজীবী ফের বলেন, হ্যাঁ, সবই তো ইমার্জেন্সি সার্ভিসের মধ্যে পড়ে। কিন্তু এই জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে প্রধান বিচারপতি ফের বলেন, “আমি ওপি়ডি ও আইপিডি সার্ভিসের কথা বলছি”।
এর পরই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেন, “ডাক্তারদের ওপিডি ও আইপিডি সার্ভিসে যোগ দিতেই হবে”।
এদিন শুনানির সময়ে রাজ্যের আইনজীবী বলেন,ডাক্তাররা ঠিক মতো কাজে যোগ না দেওয়ায় হাসপাতালে পরিষেবা ব্যহত হচ্ছে। তিনি এ কথা বলতেই, পাল্টা যুক্তি দিতে শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ ও করুণা নন্দী। তাতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূ়ড় বলেন, কে কত জোরে কতটা বলছেন, তার উপর তো নির্ভর করবে না। রাজ্যের কথা আদালত শুনবে।
এই প্রসঙ্গেই সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজের বিষয়টি উত্থাপন করেন আইনজীবী করুণা নন্দী। কিন্তু প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ওটা বিভিন্ন হাসপাতালের দৈনন্দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়। রাজ্য নিশ্চয়ই দেখবে। আদালতও নোট করে রাখল।