হুমায়ুন কবীর।
শেষ আপডেট: 29th September 2024 10:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৫০ হাজার লোক নিয়ে গিয়ে চিকিৎসকদের বুঝে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। একজন জন প্রতিনিধি হিসেবে হুমায়ুনের এমন হুঁশিয়ারির পরও কেন বিধায়ক পদ খারিজ করা হবে না সেই প্রশ্ন তুললেন চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী। অন্যদিকে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ককে 'গুন্ডা, মস্তান' আখ্যা দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ বলেন, "গুন্ডা, মস্তান নেতা হয়ে গেলে এরকমই হবে। মালের চেয়ারম্যান ১২০ কোটি টাকার কারচুপি করে এখন ফেরার। পুরো তৃণমূল দলটার অবস্থায় এরকম। এগুলো বন্ধ করতে গেলে পার্টি উঠে যাবে, সরকার চলে যাবে।"
অন্যদিকে চিকিৎসক সুবর্ণ গোসস্বামী বলেন, "সমাজ বিরোধিী সমাজ বিরোধীই থাকে। বিধায়কের হুমকি সেটাই স্পষ্ট করে।" অবিলম্বে হুমায়ুনের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী এবং স্পিকারের কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে সুবর্ণ বলেন, "চিকিৎসকরা নিরস্ত্র থাকেন। তাই ৫০ হাজার লোক দরকার নেই, ৫-৬ জন হলেই হামলার জন্য যথেষ্ট। আসলে চিকিৎসকরা সফট টার্গেট, তাই বারে বারে তাঁদের ওপরেই হামলা হয়।"
ঘটনার সূত্রপাত, জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে হুমায়ুন বলেছিলেন, ‘‘ওদের যেমন আন্দোলন করার অধিকার আছে, বাংলায় তৃণমূলেরও ৩ কোটি ভোটার আছে। ১০ হাজার মাঠে নামলে কী হবে, তখন বুঝবে...।’’
ওই ঘটনায় হুমায়ুনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে চিকিৎসক সংগঠন। তারপরই পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে হুমায়ুন বলেন, "শুনলাম আমার নামে এফআইআর করেছে। আমি পরিষ্কারভাবে বলছি, জামিন নেব না। প্রয়োজনে পুলিশ আমাকে অ্যারেস্ট করুক। জেল খেটে বাইরে এসে ৫০ হাজার লোককে সঙ্গে নিয়ে যাব। দেখব, তখন বহরমপুর মেডিকেলের ডাক্তারবাবুরা কী করেন?"