শেষ আপডেট: 25th July 2024 14:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্পিকারের মধ্যস্থতাতেও মিটল না বিধানসভার অভ্যন্তরে ঘটে যাওয়া ঝামেলা! বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বুধবারই হেয়ারস্ট্রিট থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পূর্বস্থলী উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার তিনি জানালেন, "স্পিকারের নির্দেশ মাথা পেতে নিচ্ছি। কিন্তু শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের করা খুনের অভিয়োগ প্রত্যাহার করার প্রশ্নই ওঠে না।"
তৃণমূল বিধায়কের ব্যাখ্যা, "আমি ট্রেনে বাসে যাতায়াত করি। উনি বুধবার বিধানসভায় আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন। সেটা যে উনি করবেন না, সেই গ্যারান্টি কোথায়?"
ঘটনার সূত্রপাত, বুধবার অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভার লবিতে বিরোধী দলনেতার দিকে তেড়ে যান শাসকদলের পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়। শুভেন্দুর উদ্দেশে তাঁকে বলতে শোনা যায়, "কে আমার মেয়ের চাকরি করিয়েছে?" বিরোধী দলনেতার উদ্দেশে তৃণমূলের বিধায়ক তপন এও বলেন, "আমার নাকি কলকাতায় দুটো ফ্লাট! তার চাবি দাও আমাকে!"
শুভেন্দু-তপনের মধ্যে বেশ কয়েকমিনিট কথা কাটাকাটিও হয়। বিজেপি বিধায়কদের অভিযোগ, অকথ্য ভাষায় বিরোধী দলনেতাকে গালিগালাজও করেন তপন চট্টোপাধ্যায়। যদিও গালাগালির অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, "লোকসভা ভোটের প্রচারে আমার মেয়ের চাকরি ও কলকাতায় দুটো ফ্লাট রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন শুভেন্দু। উনি আমাকে এবং আমার মেয়েকে অপমান করেছিলেন। তাই আজ লবিতে গিয়ে ওর কাছে কৈফিয়ত চেয়েছি।"
দু'পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে স্পিকারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। ওই ঘটনাকে 'অনভিপ্রেত' আখ্যা দিয়ে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, "এমন ঘটনা না ঘটলেই ভাল হতো।" বিধায়কদের সকলকে সংযত আচরণের পরামর্শও দেন বিমানবাবু। মনে করা হয়েছিল, স্পিকারের মধ্যস্থতায় এ যাত্রায় সমস্যা মিটে গেল।
তবে এদিন নিজের পুরনো অবস্থান স্পষ্ট করে তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, "খুনের মামলা প্রত্যাহারের প্রশ্নই ওঠে না। আর শুভেন্দু বা যারা আমার বা আমার মেয়ের সম্পর্কে অপমানজনক কথা বলবে, তাদের বিরুদ্ধে আগামীদিনেও আমি এভাবেই তেড়ে যাব!" এ ব্যাপারে বিরোধী দলনেতার কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি।