শেষ আপডেট: 8th January 2022 12:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনা আক্রান্ত হয়েও তথ্য গোপন করেছেন নোভাক জকোভিচ। তাঁর নামে গুরুতর অভিযোগ উঠছে। এমনিতেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, করোনা টিকা তিনি নেবেন না। তাঁর মনে হয়েছে কোভিড ভ্যাকসিন শরীরে গিয়ে কী প্রতিক্রিয়া করে, সেটি তিনি জানেন না। আর না জানার ফলে তিনি এটি গ্রহণও করবেন না। তার মধ্যেই শনিবার জকোভিচের আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেলের ১৬ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার দিন ছিল। তারপর তিনি নিজের দেশে হোম আইসোলেশনে ছিলেন। চিকিৎসকরা তাঁকে বলে দিয়েছিলেন, একমাসের মধ্যে যেন বিদেশে না যান। সেই কথা না শুনে তিনি কী করে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে চলে এলেন, সেটিও প্রশ্ন উঠছে। জকোভিচ ভিসা বিতর্কে নতুন মোড়। জকোভিচের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে আদালতে বলা হয়েছে, গত মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন টেনিস তারকা। এরপরে অবশ্য তিনি সংক্রমণের লক্ষণগুলি অনুভব করেননি। টিকা দেওয়ার নিয়ম থেকে চিকিৎসা ছাড় পেয়েছিলেন। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় ভ্রমণের আগে অস্ট্রেলিয়ান ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে লিখিত অনুমোদন পেয়েছিলেন। শনিবার আদালতে জকোভিচের আইনজীবীরা এ তথ্য প্রকাশ করেছেন। নথিতে উল্লেখ আছে, ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রথম পিসিআর পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ছিলেন জকোভিচ। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন টেনিস তারকার আইনজীবী জানিয়েছেন, করোনা পজিটিভ রিপোর্টের কারণেই মেডিকেল ছাড়পত্র পেয়েছিলেন জকোভিচ। ১৭ জানুয়ারী থেকে শুরু হওয়া অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে তাঁর ২১ তম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের আশায় অস্ট্রেলিয়ার একটি ফেডারেল আদালতে তার ভিসা বাতিলকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। এদিকে অস্ট্রেলিয়া সরকারের তরফ থেকে বিদেশীদের উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। এখন বেশিরভাগ অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যাদের প্রবেশ মঞ্জুর করা হয়েছে তাদের অবশ্যই সম্পূর্ণরূপে টিকা দেওয়া বা একটি চিকিৎসা ছাড় থাকতে হবে। এমন অবস্থায় এই রিপোর্ট জকোভিচ ভিসা বিতর্কে নতুন মোড় দেবে। শুধু তাই নয়, জোকার একান্ত অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশ নিতে না পারলে তিনি শীর্ষস্থানও হারাবেন। সেক্ষেত্রে রাশিয়ার মেদভেদেদ দুই থেকে একনম্বরে চলে যাবেন। ১০ জানুয়ারির মধ্যে জকোভিচকে টিকা নিতে হবে, না হলে তিনি আর খেলতে পারবেন এই গ্র্যান্ডস্লাম। কারণ টিকা নেওয়ার পরে একসপ্তাহ বাদে থেকে তার ইমিউনিটি শুরু করে।