শেষ আপডেট: 17th March 2025 14:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শনিবার সকালেই পরিষদীয় মন্ত্রী তথা তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে শো-কজের জবাব দিয়েছিলেন হুমায়ুন কবীর। যেখানে স্পষ্ট করে তিনি লিখে জানিয়ে দেন, বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তিনি ক্ষমা চাইছেন না। তাঁর মতে, তিনি দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ করেননি।
সোমবার হুমায়ুনের জবাবি চিঠি নিয়ে শোভনদেবের ঘরে বৈঠকে বসে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। সেখানেই ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ককে নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়, হুমায়ুনের চিঠিতে তাঁরা কেউই সন্তুষ্ট নন। যে কারণে মঙ্গলবার তাঁকে সশরীরে কমিটির সামনে উপস্থিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ করে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগে চার মাসে দু'বার শোকজ হয়েছেন তিনি। তিনবার শোকজ হওয়ার অর্থ দল থেকে সাসপেন্ড।
ঘটনার সূত্রপাত, গত মঙ্গলবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য ছিল, ''এরা (তৃণমূল) বাংলার হিন্দু জনগণকে উপড়ে ফেলতে চাইছে। এই ঔদ্ধত্য দিল্লিতে কেজরিওয়াল করেছিল বলে ওখানকার মানুষ আপকে উপড়ে ফেলেছে। আগামী বছর বাংলাতেও তাই হবে। ওদের দলের যে সব মুসলিম বিধায়ক জিতে আসবে তাদের চ্যাংদোলা করে ১০ মাস পরে এই রাস্তায় ফেলব!''
যার জবাবে হুমায়ুন বলেছিলেন, 'মারতে এলে রসগোল্লা খাওয়াবো নাকি? ঠুসে দেব! দলের থেকে আমার কমিউনিটি আগে!' প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।
হুমায়ুন বলেন, "আমরা যখন কিছু বলি তখন প্রশাসন তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেয়। আর আজ প্রশাসন চুপ কেন?" এরপরই দলের কোপে পড়েন হুমায়ুন। এখন দেখার, মঙ্গলে হাজির হয়ে দু'পক্ষের আলোচনায় কী সিদ্ধান্ত উঠে আসে।