ইডেনে সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।
শেষ আপডেট: 22 April 2025 00:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অভিজ্ঞরা রসিকতা করে বলেন, বিয়ের পর অনেক 'না', 'হ্যাঁ' হয়ে যায়! মজুমদার থেকে ঘোষ হওয়ার পর রিঙ্কুদেবীর জীবনে সোমবারটা যেন তেমনই একটা অপ্রত্যাশিত ভাল লাগার দিন।
কনে সাজে গত শুক্রবার রিঙ্কু মজুমদার বলেছিলেন, "ও (পড়ুন, দিলীপ ঘোষ) বলেছে, ফুচকা খাওয়াতে নিয়ে যেতে পারবে না। শপিং মলেও না! আমি তাতেও রাজি!" কিন্তু সোমবার সন্ধেয় সেই দিলীপ ঘোষকে দেখা গেল স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সের খেলা দেখতে!
ইডেনে মাঝেমধ্যেই খেলা দেখতে আসেন দিলীপ। তবে রিঙ্কুদেবী এই প্রথমবার। নিজেই সেকথা জানিয়ে বললেন, "খুব ভাল লাগছে। আরও ভাল লাগছে, ও এত ব্যস্ততার মধ্যেও আমাকে নিয়ে এখানে এলো! আগে তো জীবনে আনন্দ উপভোগ বলে কিছু ছিল না।"
স্ত্রীর কথা শুনে দিলীপ সলজ্জ কণ্ঠে বলেন, "কোথাও নিয়ে যাব না, তা তো বলিনি! আমি যেখানে যেখানে যেতে পছন্দ করি, সেখানে নিয়ে যাব!"
খানিক থেমে ঘোষবাবু এও জানালেন, শীঘ্রই স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দক্ষিণেশ্বরে যাবেন মায়ের পুজো দিতে। তারপরে হানিমুন। রহস্য জিইয়ে রেখে বললেন, "শীঘ্রই আমরা দু'জনে বাইরে বেড়াতে যাব, তবে কোথায় যাব, সেটা এখনও ঠিক করিনি।"
তবে ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও যেমন ধান ভানে তেমনই ইডেনে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে খেলা দেখতে এসেও দিলীপ ঘোষ ফিরে গেলেন রাজনীতির কথায়। বললেন, "দিলীপ ঘোষ লাঠি হাতেও খেলে, বল হাতেও খেলে, মশাল হাতেও খেলে। খালি মাঠ নয়, আনন্দও করে, ৪০ বছর ধরে করছে।"
'১১ তারিখ মুর্শিদাবাদের গোলমালের সময় রাত দেড়টা পর্যন্ত আমি ওখানে ছিলাম, আর কেউ যায়নি' দাবি করে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি এও বললেন, "দিলীপ ঘোষ বিজেপিকে বাংলায় লড়াই করতে শিখিয়েছে, জিতিয়েছে। জেতার পর অনেক লোক এসেছে, তার আগে কেউ আসেনি!"
রবিবারই ৬ জেলায় বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি বদল হয়েছে। মোট ৪৩টির মধ্যে সাকুল্যে ৩৯টিতে জেলা সভাপতির নাম ঘোষিতও হয়ে গেছে। বাকি রয়েছে চারটি জেলা। তারপরই রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এবারে জেলা সভাপতি পদে সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠরা প্রাধান্য পাচ্ছেন। এমন প্রেক্ষিতে দিলীপের এই মন্তব্য নিয়ে নতুন করে ছানবিন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
প্রসঙ্গত, দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি থাকাকালীনই ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বিজেপি ১৮টি আসনে জয়ী হয়েছিল। এই তথ্য কারও অজানা নয়। স্বভাবতই, ইডেনের খেলার মাঠ থেকে এই প্রসঙ্গের অবতারণা করে দিলীপ ঘোষ কীসের বার্তা দিলেন তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।