দ্য ওয়াল ব্যুরো: জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে যে জঙ্গি হামলা (Jammu Kashmir Terror Attack) হয়েছিল সেই ঘটনার ১৫ দিনের মাথায় বদলা নিয়েছে ভারত। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় হামলা করে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে একযোগে স্বাগত জানিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, কেন্দ্রের পাশে আছেন। তবে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) মনে করছেন পুরোটাই নাটক! আদতে জনগণের চাপে সুর বদলেছেন মমতা। 

'অপারেশন সিঁদুর' নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য ছিল, "টেরোরিজমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব। এই সময় যেন আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ না থাকে। সবাই আমরা দেশের পক্ষে।" কিন্তু দিলীপ ঘোষের মত, মন খুলে কথা বলছেন না মমতা এবং তাঁর সরকারের লোকেরা। শুধুমাত্র জনগণের চাপে এই ধরনের কথা বলতে হচ্ছে তাঁদের। বিজেপির নেতার কথায়, ''স্পষ্ট করে বলতে যে আমরা ১০ কোটি মানুষ কেন্দ্রের সঙ্গে আছি। সেনার সঙ্গে আছি। কেন্দ্র যা সিদ্ধান্ত নেবে তার সঙ্গে থাকব। নাহলে বুঝব, ডাল মে কুছ কালা হ্যায়।'' 

পুলওয়ামা হামলার পর বিরোধীরা নানা প্রশ্ন তুলেছিল। সেই নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়েও সমালোচনা হয়েছিল। কিন্তু 'অপারেশন সিঁদুর' নিয়ে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষও এককাট্টা হয়েছে কেন্দ্রের সঙ্গে। তাঁদের স্পষ্ট কথা, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই লড়াইতে তাঁরা এক সঙ্গে রয়েছেন। তবে বিরোধীদের নিশানা করেছেন দিলীপ। তাঁর বক্তব্য, সরাসরি সন্ত্রাসবাদের বিপক্ষে কথা বলার সাহস কারও নেই। 

কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূলকে একযোগে আক্রমণ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''কমিউনিস্ট পার্টি কোনও দিন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বলে না। আমরা ৭৫ বছর ধরে এই জিনিস দেখে আসছি। কংগ্রেস বলবে না। ওদের নেতারা পাকিস্তানের পক্ষে বলবে। কংগ্রেসের বাই প্রোডাক্ট হল তৃণমূল। আজ জনগণের সেন্টিমেন্টের চাপে মিউ মিউ করতে হচ্ছে।'' দিলীপের কটাক্ষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব ভাল করে জানেন, এই সময়ে এর বিরোধিতা করলে জনগণ শুইয়ে দেবে, ধুয়ে দেবে। তাই তিনি সুর নরম রাখছেন।