শেষ আপডেট: 9th April 2025 12:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তৃণমূলের লোকেরা কিছু মানুষকে খেপিয়ে দিয়ে অত্যাচার করার চেষ্টা করছে! জঙ্গিপুরের ঘটনা (Jangipur) প্রসঙ্গে এমনই মত বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। শুধু তাই নয়, যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর (Siddiqullah Chowdhury) গ্রেফতারির দাবিও তুলেছেন তিনি। দিলীপের অভিযোগ, মানুষকে উস্কাতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করছেন সিদ্দিকুল্লা।
ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে জঙ্গিপুরে রাস্তায় নেমে সরব হন সংখ্যালঘু সংগঠনের সদস্যরা। বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের সঙ্গে সংঘাত হয় তাঁদের। ফলত গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া পুলিশ, হামলাও চালানো হয়েছে তাঁদের ওপর। পাল্টা লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় পুলিশেরই ওপর দায় চাপিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাঁর কথায়, লাঠিচার্জ করার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ কার্যত তাঁর মন্তব্যের ঘোর বিরোধিতা করেছেন।
বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ বলেন, ''সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে এখনই গ্রেফতার করা উচিত আফস্পা আইনে। উনি এক নম্বরের দেশদ্রোহী লোক। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীদের মতো সাম্প্রদায়িক লোকদের কাঁধে ভর করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেছেন। তাই নিরুপায় হয়ে এদেরকে মাথায় করে রেখেছেন। একদিন এদের হিসেব সমান করে দেওয়া হবে।'' পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেন দিলীপ। কী বলেছেন প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি?
২০২২ সালে বিজেপির লালবাজার অভিযানে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময়ে আহত একাধিক পুলিশকর্মীর সঙ্গে দেখা করতে এসএসকেএম গেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দুষ্কৃতিদের মাথায় গুলি করা উচিত! জঙ্গিপুরের ঘটনা প্রসঙ্গে সেই বিষয়টি উল্লেখ করে দিলীপের কটাক্ষ, ''অভিষেক তো বলেছিলেন কপালে নাকি গুলি করতেন, আজ রক্ত ঠান্ডা হয়ে গেছে! দম থাকে তো মুর্শিদাবাদে গিয়ে গুলি করার কথা বলুক!'' বিজেপি নেতার খোঁচা, এমন করলে তৃণমূলের সিংহাসন টলে যাবে, রাস্তায় নেমে আসতে হবে। তাই ভয় সকলে চুপ।
প্রসঙ্গত, পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে জঙ্গিপুর মহকুমায় মিটিং-মিছিল, জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ৫ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলে স্পষ্টত জানিয়েছে প্রশাসন। এর পাশাপাশি আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, জঙ্গিপুরের পরিস্থিতি এখন পুরো নিয়ন্ত্রণে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কেউ যাতে কোনও ভুল খবর বা গুজব না ছড়ান, সেই আর্জি জানিয়েছে পুলিশ।