ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, নানারকম নেশার কবলে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। এই নিয়ে নাকি মা রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে অশান্তিও ছিল তাঁর। ছেলেকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করতেন রিঙ্কু, তবে কোনও পরিবর্তন হয়নি বলেই দাবি সূত্রের।
দিলীপ-রিঙ্কুর ছেলে সৃঞ্জয়ের রহস্যমৃত্যু।
শেষ আপডেট: 13 May 2025 15:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মঙ্গলবার দুপুরে আচমকা খবর আসে, অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে সৃঞ্জয় দাশগুপ্তর!
সল্টলেকের একটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মী ছিলেন বছর সাতাশের সৃঞ্জয়। তাঁর ডাকনাম প্রীতম। জানা গেছে, মা রিঙ্কু বিয়ে করে দিলীপ ঘোষের বাড়িতে যাওয়ার পর থেকে সৃঞ্জয় নিউটাউনের সাপুরজি আবাসনে একাই থাকতেন। সেখানেই মঙ্গলবার সকালে দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁর।
ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, নানারকম নেশার কবলে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। এই নিয়ে নাকি মা রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে অশান্তিও ছিল তাঁর। ছেলেকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করতেন রিঙ্কু, তবে কোনও পরিবর্তন হয়নি বলেই দাবি সূত্রের।
এসবের মধ্যেই রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে পরিচয় ও সখ্য হয় বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের। বিয়ের কথাও এগোয় তাঁদের। তবে মায়ের এই বিয়ে নিয়েও সৃঞ্জয়ের তেমন কোনও আপত্তি ছিল না বলেই জানা যায়। এমনকি বিয়ের পরে সংবাদমাধ্যমকেও সৃঞ্জয় নিজে জানিয়েছিলেন, মা রিঙ্কু ও দিলীপের বিয়েতে তিনি খুব খুশি।
সে সময়ে তিনি আরও জানিয়েছিলেন, পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ছুটি নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার কথা তাঁর। হোটেল ও আনুষঙ্গিক সব বুকিং হয়ে গেছে। সেই কারণে বিয়েতে উপস্থিত থাকতে পারছেন না। কিন্তু সেই সঙ্গেই জানিয়েছিলেন, এই বিয়ে নিয়ে তিনি আনন্দিত।
তবে ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিয়ের পর থেকেই সৃঞ্জয়ের নেশার ব্যাপারটি নাকি আরও বাড়তে থাকে। কারও বারণই শোনেননি তিনি। আবার এমনও শোনা যাচ্ছে, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়েও মারা গিয়ে থাকতে পারেন সৃঞ্জয়।
যদিও এই বিষয় নিয়ে অফিসিয়ালি এখনও কেউ মুখ খোলেননি। মা রিঙ্কু বা দিলীপ ঘোষের কোনও প্রতিক্রিয়াও মেলেনি এই শোকার্ত সময়ে। ফলে ঠিক কী কারণে মৃত্যু, কীভাবে মৃত্যু, তা এখনও পরিষ্কার নয়। ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, নিউটাউনের সাপুরজি আবাসন থেকে দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। তারপরেই খবর দেওয়া হয় রিঙ্কু ও দিলীপকে।
জানা যাচ্ছে, প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বিধাননগরের বেসরকারি হাসপাতাল ‘ওহায়ো’-তে। সেখান থেকেই তাঁকে ফিরিয়ে দেন চিকিৎসকরা। বলেন, সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে। সূত্রের দাবি, সে সময়ে জ্ঞান ছিল না সৃঞ্জয়ের। সম্ভবত তার আগেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। এর পরেই তাঁকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্গে ছিলেন মা রিঙ্কুও। ওই হাসপাতালেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন।
এরপরে ময়নাতদন্তের জন্য সৃঞ্জয়ের দেহ পাঠানো হয় আরজি কর হাসপাতালে। এখন এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর পিছনে কী কারণ রয়েছে, সত্যিই নেশার প্রকোপে শরীরে কোনও ক্ষতি হয়ে গেছিল, নাকি অন্য কোনও কারণ আছে নেপথ্যে, তা জানার চেষ্টা চলছে।