শেষ আপডেট: 20th April 2024 17:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি এক তৃণমূল কর্মীকে দেখতে গেলেন দিলীপ ঘোষ। জানা গেছে, শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে হামলা হয় স্বপন মল্লিক নামে ওই তৃণমূল কর্মীর উপর।
গত ১০ এপ্রিল গলসিতে স্বপন মল্লিক নামে ওই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী মারাত্মক জখম হন। তাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।সেখান থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গেছে, ইদের উপহার দিতে স্ত্রী রূপা মল্লিক ও এক নাতনিকে নিয়ে বাইকে করে মেয়ের বাড়ি শিড়রাই গ্রামে গিয়েছিলেন স্বপন। ফেরার সময় শিড়ারাই আর পোতনার মাঝে তাঁর উপরে হামলা হয়। গ্রামে ফেরার সময়ে লাঠি ও টাঙ্গি দিয়ে তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, স্বপনের সঙ্গে দীর্ঘদিন বিবাদ চলছিল গ্রামেরই তৃণমূল নেতা ইমদাদুল হক মল্লিক ওরফে তারার। মাস কয়েক আগে গ্রামে ঢোকার মুখে কয়েক জন দুষ্কৃতী তারাকে ঘিরে ধরে মারধর করে। তিনি এখনও চিকিৎসাধীন। তখন স্বপন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। এ দিনের ঘটনা তারই পাল্টা বলে দাবি দলের একাংশের। স্বপনের স্ত্রী রূপা মল্লিক বলেন, "আমার সামনেই ওকে মারধর করে। বাধা দিতে গেলে নাতনি ও আমার গলায় ছুরি ধরে আক্রমণকারীরা।"
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, "চুরি বা অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই তৃণমূল নেতারা আক্রমণ করছে। তৃণমূল কর্মীরাও এর থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এখানে বিধায়কের গোষ্ঠীর লোকজন একশোদিনের কাজের টাকা লুঠ করেছে। স্বপন তার প্রতিবাদ করেছিল।তাই সে আক্রান্ত হয়েছে। আমরা স্বপনের পরিবারের পাশে আছি। এরা খুবই গরীব। যতটা পারলাম সাহায্য করেছি। আগামীদিনেও সাহায্য করব।"
রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, "দিলীপ ঘোষ ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তাই তিনি ভোটে সহানুভূতি আদায়ের জন্য গেছেন হাসপাতালে। তিনি বলেন, দলে কোনও গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নেই। আর তাছাড়া দল স্বপন মল্লিকের পাশে আছে।" গলসির বিধায়ক নেপাল ঘোড়ুইকে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি।