শেষ আপডেট: 24th October 2024 21:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'দানা' ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলায় সবথেকে বেশি পড়ার কথা দুই মেদিনীপুর সহ দুই ২৪ পরগনায়। এই কারণেই অনেক আগে থেকে দিঘা, মন্দারমণি থেকে পর্যটকদের সরানো হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনও নানাবিধ ব্যবস্থা নিয়েছে। ঝড়ের কারণে দিঘায় যে জগন্নাথ মন্দিরের কাজ হচ্ছিল সেই কাজও বন্ধ রাখা হয়েছে।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে দিঘায় তৈরি হচ্ছে এই জগন্নাথ মন্দির। কাজ অনেকটাই এগিয়েছে তার মধ্যেই 'দানা'র আতঙ্ক। স্থানীয়রা অনেকেই বলেছেন, ঝড়ের প্রভাব মন্দির এলাকায় পড়ার কথা নয়। কিন্তু তাও সাধারণ মানুষের কথা ভেবে, কারও যাতে কোনও ভাবেই বিপদ না হয়, সেই কথা মাথায় রেখে মন্দিরের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকী সরিয়ে নেওয়া হয়েছে হাইড্রোলিক ল্যাডারও। দুর্যোগ পুরোপুরি কেটে গেলে তবে ফের কাজ শুরু হবে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, এই মুহূর্তে পারাদ্বীপ থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে 'দানা'। ল্যান্ডফলের সময় ঘণ্টায় এর গতিবেগ সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার হতে পারে। এই মুহূর্তে সমুদ্রে ১২৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড় হচ্ছে। পারাদ্বীপ এবং গোপালপুর র্যাডারের আওতায় চলে এসেছে ঘূর্ণিঝড়। এর ল্যান্ডফল হবে ওড়িশায়। তার জন্য পুরীর মন্দির এবং কোনারক মন্দিরের দরজাও দু-দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ল্যান্ডফলের সময় দিঘা, মন্দারমনি-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ১০০ থেকে ১২০ কিমি। আলিপুর জানাচ্ছে, ল্যান্ডফলের সময় দিঘায় জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ১ থেকে ২ মিটার হতে পারে। একইভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলে দশমিক ৫ থেকে ১ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। সার্বিকভাবে গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।