রাজীব কুমার।
শেষ আপডেট: 11 September 2024 14:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মৌলিক প্রশ্ন উঠেছিল যে, কাজের জায়গায় মহিলারা কতটা নিরাপদ? পরে সেই প্রশ্ন আরও বড় হতে হতে এটা দাঁড়িয়েছে যে সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীরা মোটেও পুরোপুরি নিরাপদ নন। কোথাও কোথাও ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
এই আস্থার ঘাটতি মেটাতেই বুধবার আরজি কর কাণ্ডের পর এই প্রথম মুখ খুললেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। মুখ্য সচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজীব বলেন, “জুনিয়র ডাক্তার ভাইবোনদের বলছি, আপনাদের কাজের জায়গা নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। খুব দ্রুত একটা বদল দেখতে পাবেন।”
রাজ্য পুলিশের ডিজি আরও বলেন,“আপনারা যখন স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি চাইছেন, তাহলে খোলা মন নিয়ে আলোচনায় আসুন। ভুল পথে যাবেন না”।
হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলিতে ভয়মুক্ত পরিবেশ তৈরি করার ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টেরও নির্দেশ রয়েছে। গত সোমবার সর্বোচ্চ আদালতে শুনানির সময় রাজ্য সরকার হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে যে, রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলিতে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বাড়াতে তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে। ৬ হাজারের উপর অতিরিক্ত ক্লোজড সার্কিট টিভি ক্যামেরা লাগানো হবে। মহিলা ও পুরুষদের জন্য পৃথক রেস্ট রুম তৈরি করা হবে হাসপাতালগুলিতে।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় নির্দেশ দিয়েছিলেন, এই কাজ দ্রুততার সঙ্গে করতে হবে। জেলা হাসপাতালগুলিতে এই কাজের বাস্তবায়নের উপর নজর রাখতে হবে জেলা শাসককে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্য সরকার যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সময় বেঁধে পালন করছে এদিন তারও ইঙ্গিত দিয়েছেন ডিজি রাজীব কুমার। সম্ভবত সেই কারণেই তিনি বলেছেন, দ্রুত বদল দেখতে পাবেন। তা ছাড়া জুনিয়র ডাক্তারদের ভাইবোন বলে সম্মোধন করার মধ্যেও একটা বিশ্বাসবর্ধক পদক্ষেপ তথা কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজার রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এবং শুধু জুনিয়র ডাক্তার নয়, সরকার সামগ্রিক ভাবে রাজ্যের মানুষকেও বোঝাতে চাইছে যে হাসপাতালে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বাড়াতে সরকার আন্তরিক। সাধারণ মানুষের স্বার্থেই এবার অচলাবস্থা কাটা বাঞ্ছনীয়।