শেষ আপডেট: 3rd January 2025 19:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বৃহস্পতিবার নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে দেউচা পাঁচামি প্রকল্পের কাজ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভরা বৈঠকে জেলাশাসকের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়েছিলেন, ‘দেউচা পাচামির যখন জমি নেওয়া হল কেন খাপছাড়া খাপছাড়া নেওয়া হল? কেন কনটিগুইটি দেখা হল না? সরকারের রেভিনিউ কেউ নিয়ে চলে যাবে আর তোমরা আঙুল গুটিয়ে বসে থাকবে এটা চলবে না।’
মুখ্যমন্ত্রীর ওই ধমকের পরই নড়েচড়ে বসল রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তারা। শুক্রবার দুপুরে রেলপথে বোলপুরে পৌঁছন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। সেখান থেকে মহম্মদবাজার বিডিও অফিসে পৌঁছে বীরভূমের জেলাশাসক, জেলা সভাপতি এবং ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যসচিব এবং ডিজি।
পরে মুখ্যসচিব বলেন, “দেউচা পাঁচামি প্রকল্পের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। কোথায় কী সমস্যা তা খতিয়ে দেখা হল।" মুখ্যসচিব জানান, জানুয়ারির মধ্যে উপরের অংশে মাইনিং শুরু হবে। আন্ডারগ্রাউন্ড মাইনিংয়ের টেন্ডারিংয়ের কাজ শুরু হবে ফেব্রুয়ারির মধ্যে। প্রকল্পের কাজ শুরু হলে প্রচুর কর্ম সংস্থান হবে বলেও জানান মুখ্যসচিব।
বীরভূমের নানুর, ময়ূরেশ্বর-সহ একাধিক জায়গা থেকেই বালি পাচারের অভিযোগ সামনে আসছে। রাতের অন্ধকারে নদীর নীচ থেকে পাইপের মাধ্যমে পাম্পের সাহায্য বালি তুলে অবাধে পাচার করা হচ্ছে বলে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ। তাঁদের দাবি, এর ফলে বিপুল পরিমাণ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, অবিলম্বে এসব বন্ধ করতে হবে। সাত দিনের স,ময়সীমাও বেঁধে দেন তিনি।
মমতা এও বলেন, ‘বীরভূমে আমাদের নেতাদের কথায় এসব হচ্ছে না। ওখান থকে বিজেপির ফান্ডে টাকা যাচ্ছে। এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না।' এরপরই এদিন তড়িঘড়ি মহম্মদ বাজারে পৌঁছন রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ দুই কর্তা।
প্রসঙ্গত, বীরভূমে অবৈধ ভাবে নদীগর্ভ থেকে যন্ত্রের সাহায্যে বালি পাচারের অভিযোগ নতুন নয়। অজয় নদ ও ময়ূরাক্ষী নদীর পাশে রয়েছে বহু গ্রাম। ওই ভাবে বালি তুলে নেওয়ার জন্য ধস নামার আশঙ্কায় গ্রামবাসীরা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে পথ অবরোধ করে বহুবার বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ময়ূরাক্ষী থেকে বালি তোলার প্রতিবাদে বিজেপির পক্ষ থেকেও স্থানীয় তালতলা থেকে কোটাসুর পর্যন্ত পদযাত্রা এবং পথ অবরোধ হয়েছে। তার পরেও বালি পাচার বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ।