দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি অভিনেতা দেব ওরফে ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারিকে দিল্লিতে দেখা করতে বলেছে ইডি। সমস্ত নথি নিয়ে অভিনেতাকে ইডি অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। 

এরপরই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল। শুক্রবার এ ব্যাপারে মুখ খুললেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীও। বলা ভাল, ইডির সমন সম্পর্কে দেবকে সার্টিফিকেট দিলেন মিঠুন।

মিঠুনের কথায়, "আমার মনে হয় না দেব ওই ধরনের ছেলে, পার্সোনালি যতটা চিনি।"

বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে দেখতে এসেছিলেন অভিনেতা। সেখানেই একথা বলেন মিঠুন।

একুশের বিধানসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপির প্রচারে দেখা গিয়েছিল মিঠুনকে। গত পঞ্চায়েত ভোটেও একাধিক জেলায় প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। ১ মার্চ থেকে ফের বিজেপির হয়ে লোকসভা ভোটের প্রচারেও নামতে চলেছেন তিনি।

দল চাইলে লোকসভায় রাজ্যের যেকোনও আসন থেকে তিনি যে বিজেপির টিকিটে লড়বেন, পরোক্ষে সেটাও এদিন স্পষ্ট করেছেন মিঠুন। অভিনেতার কথায়, "১ মার্চ থেকে প্রচারে নামব, শেষ পর্যন্ত থাকব। প্রার্থী হলে বেশি মনোযোগ করতে হবে।"

একই সঙ্গে মিঠুন বলেন, "আমি দেওয়ার লোক, নেওয়ার লোক নই, আমার কাছে এর থেকেও বেশি অফার এসেছিল।" কোন প্রসঙ্গে এই মন্তব্য তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি তিনি। সম্প্রতি মিঠুনকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করেছে কেন্দ্র। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা গুঞ্জনও শোনা গিয়েছিল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নাম না করে ওই প্রসঙ্গেই বিরোধীদের বার্তা দিতে চেয়েছেন অভিনেতা। 

সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মিঠুনের অভিযোগ, “সন্দেশখালি যেতে সবাইকে বাধা দেওয়া হচ্ছে, কারণ তা না হলে সত্যিটা বাইরে চলে আসবে।” এই প্রসঙ্গে মিঠুন আরও বলেন, “সন্দেশখালিতে যে আওয়াজ উঠেছে সেই আওয়াজ যাতে বন্ধ না হয় সেটাই দেখতে হবে। আমরা তো আওয়াজ ওঠায়নি উঠিয়েছেন ওখানকার মহিলারা।”