শেষ আপডেট: 15th September 2024 14:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় বিচারের দাবিতে ৯ অগস্ট থেকে কর্মবিরতিতে নেমেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তার জেরে সাধারণ মানুষ সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে 'বিচার চাই, নৈরাজ্য নয়' স্লোগানকে সামনে রেখে এবার পথে নেমে আন্দোলন সংগঠিত করতে চলেছে দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ।
সোমবার দুপুর ২টোয় সল্টলেকের করুণাময়ীতে এই প্রতিবাদ সভা হবে। সমাজের সমস্ত শ্রেণির মানুষজনকে এই প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত হওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে মঞ্চের তরফে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই গণমঞ্চের প্রধান মুখগুলির মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা পূর্ণেন্দু বসু। স্বভাবতই, নয়া মঞ্চের কার্যকলাপ নিয়ে কৌতূহলও তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
শুক্রবার এই মঞ্চের তরফে কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয়েছিল। আরজি করে নির্যাতিতার দোষীদের কঠোরতম শাস্তি যে তাঁরাও চান, সেকথা জানিয়ে মঞ্চের তরফে মোট পাঁচ দফা দাবি রাখা হয়েছে। এগুলি হল: সিবিআই যাতে দ্রুত নির্যাতিতার তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করে, মহামান্য কোর্ট যেন অতি দ্রুত দোষীকে কঠিন কঠোর শাস্তি দেন, বিচারের দাবিকে সামনে রেখে জুনিয়র ডাক্তাররা যেন কাজে যোগ দিয়ে সরকারি হাসপাতালে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা পরিষেবা অবিলম্বে চালু করেন।
আন্দোলনকারীদের কথায়, "আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীর সঙ্গে যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে তার বিচার হওয়া জরুরি। কিন্তু তা বলে সারা রাজ্যের মানুষকে, বিশেষত গরিব মানুষকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়াটাও তো অপরাধের মধ্যেই পড়ে। ইতিমধ্যে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাঁরা মারা গেলেন এরাও তো কারও সন্তান, কারও বাবা কিংবা মা। গরিব বলেই তো এরা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারেনি। চিকিৎসক হিসেবে রাজ্যের এই মানুষদের দিকটিও তো আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের ভেবে দেখা উচিত।"
প্রসঙ্গত, গত সোমবার আরজি কর মামলার শুনানিতে সুপ্রিমকোর্ট মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে আন্দোলনকারীদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও শনিবার আন্দোলনকারীদের ধর্না মঞ্চে পৌঁছে কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে আগামী মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানির আগে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কাজে ফেরাতে পথে নামছে নয়া মঞ্চ।