শেষ আপডেট: 6th March 2020 01:05
দিল্লির হিংসা নিয়ে লোকসভায় আলোচনা ১১ ই, জবাব দেবেন অমিত শাহ
দ্য ওয়াল ব্যুরো : এক সপ্তাহ ধরে বিরোধী সাংসদরা দাবি জানিয়ে আসছিলেন দিল্লির দাঙ্গা নিয়ে সংসদে আলোচনা করতে হবে। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বার বার বলেছিলেন, এখন ওই বিষয়ে আলোচনার উপযুক্ত সময় নয়। অবশেষে শুক্রবার সরকার জানাল, হোলির পরদিন, অর্থাৎ ১১ মার্চ বিষয়টি উঠবে লোকসভায়। এসম্পর্কে প্রশ্নের জবাব দেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে আলোচনার ওপরে কোনও ভোটাভুটি হবে না।
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি এদিন বলেন, "বিরোধীরা চেয়েছিলেন ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা হোক। আশা করব, তাঁরা সভার কাজে ব্যাঘাত না ঘটিয়ে আলোচনা চলতে দেবেন। এখন দিল্লিতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে। এখন ওই বিষয়ে আলোচনায় বাধা নেই।"
গত বুধবার দিল্লি দাঙ্গা নিয়ে লোকসভায় তুমুল হইচই করেন বিরোধী এমপিরা। স্পিকার সাত কংগ্রেসী সাংসদকে চলতি বাজেট অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করেন। তাঁদের অন্যতম গৌরব গগৈ এদিন বলেন, "সরকার চায়, হোলির পরে দাঙ্গা নিয়ে আলোচনা হোক। কিন্তু দাঙ্গায় যাঁরা প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, তাঁরা কি হোলি খেলতে পারবেন? যে পুলিশকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁর পরিবার কি হোলি খেলবে?"
লোকসভার পাশাপাশি রাজ্যসভাতেও দিল্লি দাঙ্গা নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছিলেন বিরোধীরা। কংগ্রেসের এমপি গুলাম নবি আজাদ বলেন, "দিল্লিতে যখন হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছিল, তখন কেন্দ্রীয় সরকার ছিল গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।" রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু বলেন, দিল্লি দাঙ্গার বিষয়টি নিয়ে নিঃসন্দেহে আলোচনা হওয়া উচিত। তিনি এজন্য সময় বরাদ্দ করবেন।
দিল্লির পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে। কিন্তু শহরে আতঙ্ক রয়েছে এখনও। দিল্লি পুলিশের এক শীর্ষস্থানীয় অফিসার জানিয়েছেন, গত রবিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ পুলিশ শহরের খায়ালা অঞ্চলে জুয়ার আড্ডায় হানা দেয়। পুলিশকে দেখে জুয়ার আড্ডায় উপস্থিত লোকজন দৌড়তে থাকে। তাতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে ভাবে দাঙ্গা লেগেছে। কেউ কেউ বলে, জুয়ার আড্ডা থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। একটি নিউজ চ্যানেলে এমনও দেখানো হয়, পুলিশকে পাথর ছোড়া হয়েছে। বাস্তবে এমন কিছুই ঘটেনি।
রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লি পুলিশ জনগণের কাছে আর্জি জানায়, গুজবে কান দেবেন না। গুজব ছড়ানোর অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। দাঙ্গা লেগেছে ভেবে এদিন মেট্রো রেলের তিলক নগর, নানগোলি, সুরজমল স্টেডিয়াম, বদরপুর, তুঘলকাবাদ, উত্তম নগর ওয়েস্ট ও নওয়াদা স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে অবশ্য খুলে দেওয়া হয়েছিল।