শেষ আপডেট: 4th December 2020 03:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিল্লি দাঙ্গায় জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেফতার হওয়া পড়ুয়া আসিফ ইকবালকে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে একটি গেস্ট হাউসে থাকতে দেওয়ার নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। চলতি বছরের গোড়ায় দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করে তাঁকে। আজ, শুক্রবার থেকে তাঁর বিএ অনার্সের পরীক্ষা শুরু। তিনি যাতে পড়াশোনা করতে পারেন এবং পরীক্ষা দিতে পারেন, সে জন্যই তাঁকে কাস্টডি প্যারলে মুক্তি দিয়ে গেস্ট হাউসে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি মনোজকুমার ওহরি জেল সুপারের কাছে অনুরোধ করেছেন, যাতে আসিফ তাঁর বই-খাতা নিয়ে যেতে পারেন সঙ্গে এবং তাঁর পড়াশোনার অন্য কোনও সাহায্য দরকার হলে যেন করা হয়। এরপরেই লাজপত নগরের একটি গেস্ট হাউসে আসিফকে নিয়ে যায় পুলিশ। আদালত জানিয়েছে, জেল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হল ডিসেম্বরের ৪, ৫ ও ৭ তারিখে তিনটে পরীক্ষার জন্য আসিফকে সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে দেওয়া এবং ফিরিয়ে আনা। পরীক্ষা হয়ে গেলেই তাঁকে আবার জেলে ফিরতে হবে বলেও জানিয়েছে আদালত। গেস্ট হাউসে যে কদিন তিনি থাকবেন, সে কদিন তাঁর কৌঁসুলির সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারবে দিনে একবার করে ১০ মিনিটের জন্য। এ বছরের গোড়ায় এনআরসি বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দিল্লিতে ছড়িয়ে পড়া দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগে মে মাসে আসিফ ইকবাল তনহাকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ইউপিএ ধারায় মামলা দায়ের হয়। পার্সিয়ান ভাষার বিএ-র তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী চব্বিশ বছর বয়সের ইকবালের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালে জামিয়া মিলিয়ার পার্শ্ববর্তী নিউ ফ্রেন্ডস কলোনিতে চারটি গণপরিবহন ও দুটি পুলিশের গাড়িতে আগুন দেন তিনি। সেই সঙ্গেই জোড়া হয়, ভারতকে ইসলামি রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্দোলনে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। তিনি কয়েকটি উস্কানিমূলক বক্তৃতা দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে। যদিও ওই সময়ে ওই এলাকার প্রকাশ পাওয়া কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা দেয় অন্য ছবি। ভিডিওয় দেখা গেছে, সিএএ বিরোধিতা করায় জামিয়া মিলিয়ার শিক্ষার্থীদের বেধড়ক মারধর করছে দিল্লি পুলিশ। উল্টোদিকে শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ চালিয়ে গেছেন শিক্ষার্থীরা। ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখে শুরু হওয়া দিল্লি দাঙ্গায় ৫৩ জনের মৃত্যু হয় এবং আহত হন ৩০০ জনের বেশি মানুষ।