শেষ আপডেট: 18th December 2021 10:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো : চলতি মাসের শুরুতে দিল্লির রোহিণী কোর্টে বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। তার তদন্তে নেমে পুলিশের স্পেশাল সেল ওইদিন কোর্টে এসেছিল এমন ১০০০ টি গাড়ি পরীক্ষা করে। ১০০-র বেশি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে। শনিবার দিল্লি পুলিশের কমিশনার রাকেশ আস্থানা বলেন, তদন্তে জানা গিয়েছে, ডিফেন্স রিসার্চ ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সঙ্গে যুক্ত এক বিজ্ঞানীই ছিলেন বিস্ফোরণের মূলে। জনৈক উকিলের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। তাঁকে মারার জন্যই বিজ্ঞানী বোমা রেখেছিলেন। পুলিশ জানায়, বিস্ফোরণের জন্য অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করা হয়েছিল। ওই রাসায়নিকটি সহজেই পাওয়া যায়। কেবল বোমার ডিটোনেটরটিই বিস্ফোরিত হয়েছিল। মূল বোমাটি ফাটেনি। ফাটলে অনেকের প্রাণহানি হতে পারত। ল্যাপটপের জন্য যে ব্যাগ ব্যবহৃত হয়, তার ভেতরে বোমাটি রাখা হয়। ব্যাগের ওপরে ছিল মুম্বইয়ের এক কোম্পানির ছাপ। দিল্লিতেও সেই কোম্পানির গুদাম আছে। রাকেশ আস্থানা জানান, ডিআরডিও-র বিজ্ঞানী ভারত ভূষণ কাটারিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি করে মিলেছে বোমা তৈরির সরঞ্জাম। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি উকিল সেজে কোর্টে ঢুকেছিলেন। বিস্ফোরণের পরে পালিয়ে যান। তদন্তে জানা গিয়েছে, কাটারিয়ার সঙ্গে তাঁর প্রতিবেশী অমিত বশিষ্ঠের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। অমিত হলেন রোহিণী কোর্টের আইনজীবী। তাঁকে খুন করার জন্যই কাটারিয়া বোমা রেখেছিলেন। পুলিশ এখন তদন্ত করে দেখছে, কীভাবে কাটারিয়া বোমা নিয়ে কোর্ট চত্বরে ঢুকলেন। আপাতত জানা গিয়েছে, রিমোটের সাহায্যে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। বোমা তৈরির কয়েকটি সরঞ্জাম তিনি অনলাইনে কিনেছিলেন।