Advertisement
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সিভি আনন্দ বোস।
Advertisement
শেষ আপডেট: 3 July 2024 13:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পূর্ব ঘোষণা মতোই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বুধবার ওই মামলা আদালতে উঠলে পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে আবেদন প্রত্যাহার করে পুনরায় ফাইল করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি কৃষ্ণা রাও।
রাজ্যপালের আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী বুধবার আদালতে বলেন, রাজ্যপালকে জড়িয়ে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা একাধিক মন্তব্যে সিভি আনন্দ বোসের মানহানি হয়েছে। প্রমাণ হিসেবে একাধিক সংবাদপত্রের এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন এবং ভিডিও ফুটেজ আদালতে হাজির করেন তিনি।
এরপরই আদালত জানতে চায়, যে সব সংবাদমাধ্যমের থেকে আবেদনকারী এই খবর পেয়েছেন মামলায় সেই সব সংবাদমাধ্যমকে পার্টি করা হয়েছে কিনা। জবাবে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যা বলা হচ্ছে তা ইউটিউবে রয়েছে, যে কেউ সেটা দেখতে পারেন, শুনতে পারেন। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে রাজ্যপালের ওএসডি-সহ তিন জনকে ১৬০তে নোটিশ দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল।
বিচারপতি জানান, "মামলা প্রত্যাহার করে পুনরায় ফাইল করুন। না হলে পদ্ধতিগত ত্রুটি থেকে যাছে।"
ঘটনা সূত্রপাত, সম্প্রতি রাজ্য বিধানসভার দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণ ঘিরে নতুন করে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাতে পরিস্থিতি তৈরি হয়। নবনির্বাচিত বিধায়িকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, তিনি রাজভবনে যাবেন না বিধানসভায় শপথ নেবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সায়ন্তিকার বক্তব্যকে সমর্থন করে জানান, রাজভবনের সাম্প্রতিক কার্যকলাপে সেখানে ভয়ে যেতে চাইছেন না মহিলারা।
এই প্রেক্ষিতেই সম্প্রতি রাজ্যপাল বলেন, আত্মসম্মান নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলবে তাঁদের ফল ভুগতে হবে। তাঁর স্পষ্ট কথা, ''মুখ্যমন্ত্রী আমার সাংবিধানিক সহকর্মী। কিন্তু কেউ যদি আমার সম্মান নষ্টের চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।'' তখনই বোস জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিরুদ্ধে তিনি মানহানির মামলা করবেন।
জবাবে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী সঞ্জয় বসু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারছি। তবে এখনও এবিষয়ে আইনি কোনও চিঠি পাইনি। চিঠি এলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।"
একই সঙ্গে তিনি বলেন, "রাজভবনের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলির প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন। তাছাড়া উনি নিজেও একজন মহিলা।" সঞ্জয়বাবুর আরও অভিযোগ, বিধানসভার দুই নির্বাচিত বিধায়কের শপথ অনুষ্ঠানকে পিছিয়ে দিতেই রাজনৈতিক কারণে এই মামলা করেছেন রাজ্যপাল।
Advertisement
Advertisement