শেষ আপডেট: 13th March 2025 09:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চা উৎপাদনে রেকর্ড করল দার্জিলিং (Darjeeling tea) । দুর্ভাগ্যের হল রেকর্ড ছুঁয়েছে উৎপাদন বৃদ্ধিতে নয়। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪-এ বাংলার শৈল শহরে চা উৎপাদন (production of tea) হয়েছে ৫.৬ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ ৬০ হাজার কেজি।
টি বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (Tea Board of India) জানিয়েছে, দার্জিংলিংয়ের ১৬৯ বছরের ইতিহাসে (169 years of tea production in Darjeeling) স্বাভাবিক সময়ে এক কম পরিমাণ চা উৎপাদনের নজির নেই। এর থেকে কম চা উৎপাদনের একটি ব্যতিক্রমী নজির অবশ্য আছে। ২০১৭ সালে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে টানা ১৭৪দিন বাগান (tea garden) বন্ধ ছিল। শ্রমিকরা বাগানে যেতেন না। কর্তৃপক্ষ অফিস বন্ধ করে চলে গিয়েছিলেন। সেবারও ৩০ লাখ ২১ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল।
গত বছর কেন পর্যাপ্ত উৎপাদন হয়নি? চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত একাধিক মহলের বক্তব্য, বাগান খোলা থাকলেও নানা দাবি দাওয়ার কারণে শ্রমিকেরা অনেকেই নিয়মিত বাগানে আসেননি। তার উপর চা গাছ পরিচর্যার আনুষঙ্গিক খরচ বেড়েছে। বিশেষ করে নতুন করে চারা রোপন সম্ভব হয়নি। পুরনো গাছ পুনস্থাপনের খরচও মাত্রা ছাড়া।
২০২৩ সালে দার্জিলিংয়ে চা হয়েছিল ৬০ লাখ কেজির মতো। চা মালিকদের সংগঠনের দাবি, বছরের পর বছর চায়ের উৎপাদন কমছে। এর পিছনে অনেক কারণ রয়েছে। একটি কারণ বলা হচ্ছে, নতুন অস্থায়ী মালিকেরা অনেকেই বাগানের পরিচর্যায় পর্যাপ্ত খরচ করছেন না। ফলে গত শতকের সাতের দশকে একা দার্জিলিংয়েই তৈরি হত এক কোটি চার লাখ কেজি চা।
উৎপাদন নজিরবিহীন হ্রাস পাওয়ার আরও একটি কারণ ১২টি চা বাগান বিগত কয়েক বছর ধরে বন্ধ (closed tea garden) । সে বাগানগুলি আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আরও একটি কারণ শ্রমিকদের মধ্যে শৃঙ্খলার অভাব। একটি চা বাগানের ম্যানেজারের বক্তব্য, বছরে ২৫ থেকে ৩০ বার চা পাতা তোলা হয়। শ্রমিকের অভাবে এখন তা কমে হয়েছে ১৫ থেকে ১৮ বার।