শেষ আপডেট: 4th October 2024 17:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বৃহস্পতিবারই ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলা। রাতে টুইটে সুখবর জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছিলেন, 'অধিকার ছিনিয়ে নিলাম'।
শুক্রবার এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি লিখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
দাড়িভিট কাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে খোলা চিঠিতে মমতার উদ্দেশে সুকান্ত লিখেছেন, 'দাড়িভিটে বাংলা ভাষার শিক্ষকের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে দুই ছাত্রর মৃত্যু হয়েছিল। বাংলা ভাষা ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি পাওয়ায় ওই দুই ছাত্রকে ভাষা শহিদের মর্যাদা দেওয়া হোক।"
খোলা চিঠিতে মমতাকে খোঁচা দিয়ে সুকান্ত লিখেছেন, ''কেন্দ্র বাংলা ভাষাকে ক্লাসিক্যাল ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছে। অথচ মুখ্যমন্ত্রী সেই ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করছেন। ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বাংলা শিক্ষক চেয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল দুই ছাত্র তাপস বর্মন ও রাজেশ সরকারের। মুুখ্যমন্ত্রী যদি সত্যি বাংলা ভাষার প্পতি সহানুভূতিশীল হন তাহলে ওই দুই নিহত ছাত্রকে শহিদের মর্য়াদা দিক।'
বস্তুত, বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষা হিসাবে ঘোষণার দাবি জানিয়ে এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চিঠিতে কেন্দ্রর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছিলেন, এর আগে তামিল, তেলুগু, মালয়ালম, ওড়িয়া— এই ভাষাগুলিকে কেন্দ্র সরকার ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে মান্যতা দিয়েছে। কিন্তু একাদশ ও দ্বাদশ শতাব্দী থেকে চলে আসা বাংলাভাষাকে এতদিন দেশের ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দেয়নি কেন্দ্র। কেন বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া উচিত, তার সপক্ষে সম্প্রতি কেন্দ্রের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরে তিনটি খণ্ডে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছিল রাজ্য।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, "বাংলার প্রাচীন ভাষা। আমাদের কাছে নথিও রয়েছে। তাই তথ্য দিয়েই আমরা আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। নিজের দাবির সপক্ষে নথিও জমা দিয়েছিলাম। অবশেষে কেন্দ্র দাবি মানতে বাধ্য হল।"
পর্য়বেক্ষকদের মতে, এবার পাল্টা চিঠিতে রাজ্যকে চাপে রাখার চেষ্টা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এখন দেখার, রাজ্য এ ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করে কিনা।