শেষ আপডেট: 23rd October 2024 19:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইতিমধ্যে বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ক্রমশ স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে দানা। ২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবর সকালের মধ্যে উত্তর ওড়িশা ও সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি জায়গা ওড়িশার ভিতর-কণিকা ও ধামরার মধ্যে আছড়ে পড়ার কথা।
সাম্প্রতিক অতীতে আমফান, রেমাল, ফণীর দাপট দেখেছে বাংলা। অতীতে এই ঝড়গুলির দাপটে রাজ্যের উপকূল বর্তী এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। তাই ঘূর্ণিঝড়ের নাম শুনলেই আঁতকে ওঠেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা। দানা কি তাদের ছাপিয়ে যাবে?
কী বলছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর?
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে মে মাসে আছড়ে পড়েছিল সুপার সাইক্লোন আমফান। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিবেশ ছিল ২৭০ কিমি। আমফানের দাপটে উপকূলবর্তী এলা্কার পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সমগ্র দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে।
চলতি বছরের ২৭ মে রাত ১১টা নাগাদ রেমালের ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝে। প্রায় ১৩৫ কিমি বেগে আছড়ে পড়ে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় রেমাল। বাংলার চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল বাংলাদেশে। কিন্তু দানার ক্ষেত্রে কী হবে?
হাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোনও ঘূর্ণিঝড় মূলত তিন ধরনের প্রভাব ফেলে- ভারী বৃষ্টিপাত, ঝোড়ো হাওয়া এবং জলোচ্ছ্বাস। দানার ক্ষেত্রে এই তিনটি বিষয়েই হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ২৫ তারিখ পর্যন্ত মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক হাবিবুর রহমান বলেন, "বাতাসের গতিবেগের ওপর নির্ভর করে আমরা ঝড়ের মাপকাঠি ঠিক করে থাকি। সেদিক থেকে আমফান অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল। আমফানকে বলা হয়েছিল এক্সট্রিমলি সুপার সাইক্লোন। রেমাল সিভিয়ার সাইক্লোন ছিল। রেমালের চেয়ে খুব একটা ডিফারেন্ট নেই দানার।"
সঙ্গে এও বলছেন, "তবে ল্যান্ডফলের সময়ের পরিস্থিতির ওপর অনেকখানি নির্ভর করে। তাই আগে থেকে নিশ্চিত করে হয়তো সবটা বলা যাবে না। তবু আমফানের চেয়ে অনেক কম।"
আলিপুর এও জানাচ্ছে, ফি-বারই অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে গড় হিসেবে ৩ থেকে ৪টে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। একইভাবে মার্চ থেকে মে'র মধ্যে একটা থেকে দুটো ঘূর্ণিঝড় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই দানার আগমনে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই।