শেষ আপডেট: 23rd October 2024 20:18
দ্য ওয়াল ব্য়ুরো, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক জানিয়েছেন, ওড়িশার ধামড়া ও ভিতরকণিকা এলাকায় দানার ল্যান্ডফল হবে। এই এলাকায় আছড়ে পড়বে। তবে সঠিক সময়ে এখনও বলতে পারেননি। ফলে আবহাওয়াবিদরা মোটামুটি ধরে নিচ্ছেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে মাটিতে আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়। প্রায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার গতিবেগ থাকবে। শক্তি বাড়িয়ে ১২০ গতিতেও তোলপাড় করতে পারে। ফলে প্রভাব পড়বে উপকূলীয় অঞ্চলগুলিতে। ফলে সমস্ত কিছুর সঙ্গে ধর্মীস্থানগুলিতেও সুরক্ষা নিশ্চিত করার হচ্ছে। পুরীর মন্দিরের পাশাপাশি এবার বন্ধ হয়ে গেল কপিলমুনির মন্দিরের দরজা। পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার দিকে তাকিয়ে তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে মন্দির চত্বরের দোকানপাট।
বুধবার থেকে মন্দির বন্ধ হয়ে গেছে। পর্যটক বা তীর্থযাত্রীদের আনগোনাও তেমন দেখা যায়নি। শুনশান হয়ে রয়েছে মন্দির চত্বর। দোকানপাট গুছিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে গিয়েছে বিক্রেতারা। ভেসেল পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন কপিনমুনির মন্দির ও আশ্রমে কোনও পুণ্যার্থী নেই। দানা যাতে মন্দিরের উপর কোনও প্রভাব না ফেলতে পারে তাই পুজো শুরু করে দিয়েছেন আশ্রমের সেবায়েতরা।
আগেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়েছে কপিলমুনির আশ্রম। ইতিমধ্যে গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির মন্দিরের সামনের ঘাটের প্রায় দু-কিলোমিটার বেশি পুরোপুরি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। তাই দানার প্রভাবে আরও ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মানুষ। একাধিকবার এই এলাকায় কাজ হলেও লাভ হয়নি বলে দাবি করেছেন তাঁরা। দানার প্রভাবের ভেঙে পড়েছে গঙ্গাসাগরের নদীবাঁধ। আরও ভাঙতে পারে । গঙ্গাসাগরের এক নম্বর ঘাট থেকে ৫ নম্বর ঘাট পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।