শেষ আপডেট: 29th January 2022 12:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজস্থানে (rajasthan) প্রজাতন্ত্র দিবসের (republic day) রাতে দলিত নিগ্রহের (dalit) (assault) অভিযোগে চাঞ্চল্য। চুরু জেলায় রাকেশ মেঘওয়াল নামে ২৫ বছরের দলিত যুবকের (youth) ওপর অকথ্য নির্যাতন (torture) চালিয়েছে জাঠ সম্প্রদায়ের একদল যুবক (jats)। পুলিশ জানিয়েছে, রাকেশ রুখাসার গ্রামের বাসিন্দা। ২৭ জানুয়ারি দায়ের হওয়া এফআইআর অনুসারে তাঁকে জোর করে প্রস্রাব পান করানো হয়েছে বলেও দাবি রাকেশের। সে বলেছে, সেদিন রাতে গ্রামের ছেলে জনৈক উমেশ জাঠ তার বাড়িতে এসে বলে, তাকে ওর সঙ্গে যেতে হবে। কিন্তু সে যেতে না চাইলে তাকে জোর করে উমেশের গাড়িতে তুলে কাছের মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। দলে উমেশ ছাড়াও ছিল সাতজন। রাকেশের দাবি, দলের দুজন মদের (alchohol) বোতল করে জোর করে তার মুখে মদ ঢেলে দেয়। বোতল খালি হলে তাতে প্রস্রাব করে বাকিরা। সেই মূত্র (urine) তাকে খেতে বাধ্য করা হয়। রতনগড় থানায় এই মর্মে এফআইআর করে রাকেশ। তার প্রতি জাতপাতগন্ধী গালিগালাজ, দলিতদের সম্পর্কে ব্যবহার করা কটূ শব্দও উচ্চারণ করে জাঠ যুবকরা, রাকেশের দাবি। সে জানিয়েছে, ওরা কী করে জাঠ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংঘাতে জড়ানোর সাহস হল, জানতে চেয়ে এজন্য শিক্ষা দেওয়া হবে বলে হুমকিও দেয়। আধ ঘণ্টা দড়িতে বেঁধে রেখে তাকে লাঠিপেটা করা হয়, তার সারা শরীরে কালশিটে পড়ে গিয়েছে বলে এফআইআরে বলেছে রাকেশ। পরে তাকে মৃত ভেবে গ্রামে ফেলে দিয়ে যায় জাঠ যুবকরা। তবে যাওয়ার আগে তার মোবাইলটিও নিয়ে যায়। কোনও এক হোলি উত্সবে বাদ্যযন্ত্র বাজানো নিয়ে বিবাদের জেরে জাঠ যুবকদের সঙ্গে তার বৈরিতা ছিল বলে জানিয়েছে রাকেশ। প্রাথমিকভাবে রাকেশের অভিযোগে সত্যতা খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। বলেছে, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। ওরা সবাই তার সমবয়সী। কোনও বিতর্ক, বিরোধ ছিল, এটা সত্যি। তদন্তকারী অফিসার হিমাংশু শর্মা জানিয়েছে, অভিযোগকারী বলেছে, বছরখানেক আগে তার হাত থেকে একটি বাদ্যযন্ত্র পড়ে গিয়েছিল, যা নিয়ে অভিযুক্তরা তাকে কটাক্ষ, বিদ্রূপ করে, যা থেকে সংঘাতের সূত্রপাত হয়। তবে জোর করে প্রস্রাব পান করানোর অভিযোগের সমর্থনে কোনও প্রমাণ পুলিশ পায়নি বলে জানিয়েছে। তদন্ত চলছে।