শেষ আপডেট: 25th October 2024 16:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দক্ষিণেশ্বর মন্দির এলাকা ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পরিবর্তে এবার হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। শুক্রবার দুর্যোগের মধ্যে একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘূর্ণিঝড় দানার মোকাবিলায় বুধবার থেকেই তৎপর রাজ্য। বৃহস্পতিবার রাতভর নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার দুপুরে এ ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক থেকে তিনি অনেক প্রসঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণেশ্বরের প্রসঙ্গও টেনে আনেন।
রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের উদ্দেশে মমতা বলেন, " আমি রাজীবকে বলব, তুমি এত থানার কথা বোলো না। তুমি শুধু পুলিশ নিয়ে ভাবছ। আমাকে সারা রাজ্য নিয়ে ভাবতে হয়। দক্ষিণেশ্বরকে হাওড়া কমিশনারেটের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।"
প্রসঙ্গত, দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির সংলগ্ন এলাকা এখন ব্যারাকপুর কমিশনারেটের মধ্যে পড়ে। এটি উত্তর ২৪ পরগনার অধীন। কিন্তু ভৌগলিক দিক থেকে দক্ষিণেশ্বর মন্দির হাওড়ার অনেক কাছে। মাঝ দিয়ে বয়ে গিয়েছে গঙ্গা। ওপারে হাওড়ার বালি, বেলুড়। সূত্রের খবর, সময় দূরত্বের জন্য অনেক সময় অনেক সমস্যা তৈরি হয়। সেকারণেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
সামনেই কালীপুজো। উৎসবের সময় যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেটা দেখার কথাও বলেন মমতা। এ প্রসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের প্রতিও বাড়তি নজরদারির কথা বলেছেন মুুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, মেট্রো রেলের সম্প্রসারণের কারণে দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক ভেঙে ফেলার জন্য গত জানুয়ারিতে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্র। সে সময় মমতা পরিষ্কারভাবে জানিয়েছিলেন, "দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক আমার হৃদয়ে মণিমুক্তের মতো। অনেক কষ্টে এটা করেছি। আমার শরীরে শেষ রক্ত থাকতে দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক ভাঙতে দেব না।"
মমতার উদ্যোগেই তৈরি হয়েছে দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক। এর ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় যানজট যেমন কমেছে তেমনই মন্দিরে যাতায়াতকারী পুন্যার্থীদের সুবিধাও হয়েছে অনেক। সম্প্রতি মন্দির চত্বরে অসামাজিক কার্যকলাপ বাড়ছে বলে অভিযোগ। তবে তার সঙ্গে পুলিশ কমিশনারেটের বদলের কোনও যোগ রয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।