ফাইল ছবি।
শেষ আপডেট: 7 May 2025 11:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আশঙ্কায় সত্যি হল। ফের পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার (DADA Case) শুনানি। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের ৫ নম্বর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
আদালত সূত্রের খবর, অন্য একটি জরুরি মামলায় ব্যস্ত থাকার কারণে গ্রীষ্মাবকাশের পর অর্থাৎ জুলাই মাসে শুনানির দিন ধার্য করার জন্য এদিন আদালতে আবেদন জানান রাজ্যের আইনজীবী। সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলির তরফে এর বিরোধিতা করা হয়। এরপরই আদালত জানায়, মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৪ মে।
রাজ্য মামলা পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে মঙ্গলবারই অভিযোগ করেছিলেন সরকারি কর্মচারী পরিষদের রাজ্য সভাপতি দেবাশিস শীল। এদিন তিনি বলেন, "আবার একটি তারিখ পড়ল। কিন্তু আমরা এখনও বলছি যে রাজ্য সরকারের এই খেলা শেষ হয়ে এসেছে। মামলার শুনানি হবেই। রাজ্য সরকারের মুখ পুড়বে। পশ্চিমবঙ্গের সরকারী কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, পেনশনারদের জয় হবেই।"
কেন্দ্রীয় হারে সরকারি কর্মীদের ডিএ দেওয়ার দাবিতে বহুদিন ধরে সরব রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। কলকাতা হাইকোর্ট এই দাবি মেনেই রায় দিয়েছিল। তবে সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্ট যায় রাজ্য সরকার। এরপর ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টে প্রথম বার ওঠে ডিএ মামলা। তারপর থেকে একাধিকবার শুনানি হয়েছে এবং শুনানির দিন পিছিয়েওছে।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হৃষীকেশ রায়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হত। তবে শুনানি শেষ হওয়ার আগেই বিচারপতি অবসর নেন। এরপর মামলাটি নতুন বেঞ্চে গিয়েছে।
সম্প্রতি ২ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধিতে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে ৫৫.৯৮ শতাংশ ডিএ পেতে চলেছেন কর্মীরা। এর আগে গত বছর জুলাই মাসে ৫০ শতাংশ থেকে ডিএ বাড়িয়ে ৫৩ শতাংশ করেছিল কেন্দ্র। তারপর এখন তা বাড়িয়ে ৫৫ শতাংশ করা হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের জন্য রাজ্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রের কর্মীদের ডিএ-তফাৎ বিরাট বেড়ে গেছে।
চলতি বছরের রাজ্য বাজেটে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর ঘোষণা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। গত বছর বাজেটেও ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ানো হয়েছিল। তার আগে ২০২৩ সালের বড়দিনে ডিএ বাড়ানোর ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বর্তমানে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের ডিএ-র ফারাক কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫ শতাংশ।