বুধবার দুপুর ২টোয় সুপ্রিমকোর্টের (supreme court) বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
সুপ্রিম কোর্ট।
শেষ আপডেট: 14 May 2025 15:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফের পিছিয়ে গেল ডিএ (DA Case) মামলার শুনানি। বুধবার দুপুর ২টোয় সুপ্রিমকোর্টের (supreme court) বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
তবে এদিন মামলা শুরুর আগেই রাজ্যের তরফে ফের সময় চাওয়া হয়। রাজ্যের আবেদনের বিরোধিতা করেন মামলাকারীদের আইনজীবী। যদিও দু'পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে মামলা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আদালত। আগামী শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী পরিষদ সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, "সরকারি কর্মচারীদের বঞ্চিত করতে এদিনও রাজ্য মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তবে শুনানিতে রাজ্যের প্রতি আদালতের পর্যবেক্ষণ, অন্তত ৫০ শতাংশ ডিএ দিয়ে দিন। আদালতের এই পর্যবেক্ষণ থেকেই আমরা নতুন করে আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। মনে হচ্ছে, শুক্রবারই চূড়ান্ত রায়দান করতে পারে আদালত। আর সেটা হলে মুখ পুড়বে রাজ্যের।"
কেন্দ্রীয় হারে সরকারি কর্মীদের ডিএ দেওয়ার দাবিতে বহুদিন ধরে সরব রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। কলকাতা হাইকোর্ট এই দাবি মেনেই রায় দিয়েছিল। তবে সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্ট যায় রাজ্য সরকার। এরপর ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টে প্রথম বার ওঠে ডিএ মামলা। তারপর থেকে একাধিকবার শুনানি হয়েছে এবং শুনানির দিন পিছিয়েওছে।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হৃষীকেশ রায়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হত। তবে শুনানি শেষ হওয়ার আগেই বিচারপতি অবসর নেন। এরপর মামলাটি নতুন বেঞ্চে গিয়েছে।
সম্প্রতি ২ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধিতে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে ৫৫.৯৮ শতাংশ ডিএ পেতে চলেছেন কর্মীরা। এর আগে গত বছর জুলাই মাসে ৫০ শতাংশ থেকে ডিএ বাড়িয়ে ৫৩ শতাংশ করেছিল কেন্দ্র। তারপর এখন তা বাড়িয়ে ৫৫ শতাংশ করা হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের জন্য রাজ্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রের কর্মীদের ডিএ-তফাৎ বিরাট বেড়ে গেছে।
চলতি বছরের রাজ্য বাজেটে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর ঘোষণা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। গত বছর বাজেটেও ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ানো হয়েছিল। তার আগে ২০২৩ সালের বড়দিনে ডিএ বাড়ানোর ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বর্তমানে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের ডিএ-র ফারাক কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫ শতাংশ। এখন দেখার ডিএ প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালত শুক্রবার কী রায় দেয়।