২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে বিজেপি ১৮টি আসনে জয়লাভ করেছিল বলেই ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পঞ্চম পে কমিশন ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছিল বলেও এদিন দাবি করেন বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু অধিকারী।
শেষ আপডেট: 16 May 2025 17:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যের কর্মচারীদের ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা (DA Case) আটকাতে রাজ্য আইনি লড়াই লড়তে ২০০ কোটি টাকারও বেশি খরচ করেছে বলে অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
শুভেন্দুর অভিযোগ, "এই টাকা থাকলে ১০টি হাসপাতাল তৈরি করা যেত, ১০০ টি হাসপাতালে এমআরআই বসানো যেত, নতুন ২০০টি স্কুল ব্লিডিং তৈরি করা যেত। অথচ সে সব না করে কর্মচারীদের অধিকার আটকানোর চেষ্টা করেছে রাজ্য।"
ডিএ মামলার (DA Case) শুনানিতে শুক্রবার বড় নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। অন্তর্বর্তী রায়ে জানান হয়েছে, রাজ্য সরকারকে ২৫ শতাংশ ডিএ দিতে হবে। প্রথমে ৪ সপ্তাহ সময় দেওয়া হলেও পরে রাজ্যের আর্জি মেনে সেই সময়সীমা ৩ মাস করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ সামনে আসতেই গোটা ঘটনায় কর্মচারীদের জয় দেখছেন বিরোধী দলনেতা। এ প্রসঙ্গে অতীতে কর্মচারীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর করা একাধিক মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী কখনও বলেছেন বেশি ঘেউ ঘেউ করবেন না, কখনও বলেছেন ঐচ্ছিক, এটা কর্মচারীদের অধিকার হতে পারে না। কিন্তু আদালতের রায়ে স্পষ্ট হয়ে গেল, রাজ্যে কর্মচারীদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছিল।"
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে বিজেপি ১৮টি আসনে জয়লাভ করেছিল বলেই ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পঞ্চম পে কমিশন ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছিল বলেও এদিন দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, "২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর মুখ্যমন্ত্রী আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, সরকারি কর্মচারীরা আমাদের ভোট দিল না কেন? আমি বলেছিলাম, আপনি ডিএ দেননি কেন? এরপরই কর্মচারীদের দাবি মেনেছিল সরকার। অর্থাৎ সেদিন বাংলার মানুষ বিজেপিকে ১৮টা আসনে না জেতালে তখনও কর্মচারীদের ডিএ বাড়াতো না সরকার।"
এ প্রসঙ্গে বামেদেরও কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, "আমরা বামেদের মতো সেটিং অপজিশন নয়। আমরা জানি কীভাবে মানুষের অধিকার ছিনিয়ে আনতে হয়। তাই শুরু থেকেই কর্মচারীদের অধিকারের দাবির সঙ্গে আমরা নৈতিক সমর্থন জানিয়েছিলাম।"
এরপরই শুভেন্দু বলেন, "কর্মচারীদের এই জয়ে আমরা দুটো দিক থেকে খুশি। এক কর্মচারীদের অধিকার রক্ষা হল, দুই সুপ্রিমকোর্টে রাজ্যের আইনজীবী স্বীকার করে নিয়েছেন যে রাজ্যের কোষাগার শূন্য। অর্থাৎ বাংলার ভাঁড়ে মা ভবানী হালটা স্পষ্ট হয়ে গেল।"