শেষ আপডেট: 22nd October 2024 17:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে বাংলায়। তার কারণ ঘূর্ণিঝড় 'দানা'। চলতি সপ্তাহে কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। তার সঙ্গে ঝড় হওয়ারও সম্ভাবনা। বুধবার থেকেই প্রভাব ফেলতে পারে 'দানা'।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে সাগরদ্বীপ থেকে ৭৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে নিম্নচাপের অবস্থান। বুধবার সকালে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার কথা। তারপর তার অভিমুখ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে হবে। এর জেরেই ২৩ তারিখ সন্ধে থেকে রাজ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে। ২৪ তারিখ দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতায় অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে। ২৫ তারিখ বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা। উপকূলবর্তী এলাকাতে হাওয়ার গতিবেগ ১১০ কিলোমিটার থাকবে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সুন্দরবন ও সাগরদ্বীপ এলাকাই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ঝুপড়ি, কাঁচা ঘর, ইলেকট্রিক খুঁটি, গাছ ভাঙার সম্ভাবনা প্রবল ভাবে রয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার রাত এবং বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে ওড়িশার পুরী এবং এই রাজ্যের সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী কোনও অংশ দিয়ে স্থলভাগে ঢুকতে পারে ঘূর্ণিঝড়।
শনিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। সাগর, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, বকখালিতে কন্ট্রোলরুম খুলে রেখেছে প্রশাসন। উপকূলের বাসিন্দাদের উঁচু এলাকায় দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুরের মতো বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রের দিকে নজর রাখছে রাজ্য প্রশাসন। পর্যটকদের সমুদ্রের ধারে যেতে স্পষ্টভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
রাজ্যের সব জেলায় হাওয়ার গতিবেগ একরকম থাকবে না। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতা এবং হাওড়ায় হাওয়ার গতিবেগ ৫০ থেকে ৭০ কিমি প্রতি ঘণ্টা হতে পারে। অন্যদিকে, সাগর ও সুন্দরবন এলাকায় তা হতে পারে ৭০ থেকে ৯০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। সবথেকে বেশি জোরে ঝড় হবে পূর্ব মেদিনীপুরে। হাওয়ার বেগ থাকতে পারে ১১০ থেকে ১৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টা! সুন্দরবনে বাঁধের ক্ষতি হতে পারে নদীর জলস্তর বৃদ্ধির ফলে, এমনও আভাস মিলেছে।