শেষ আপডেট: 21st October 2024 13:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আবার এক ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা বাংলায়। বিগত কয়েক বছরে একাধিক ঝড়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে রাজ্যের মানুষকে। তবে 'আমফান' যে ক্ষতি করেছে তা অন্য কোনও ঝড়ের সময়ে হয়নি এটাই স্বস্তি। এখন আবার 'দানা' নিয়ে আশঙ্কা। কিন্তু ঝড়ের নাম এমন কেন, কারাই বা দিল, সকলেই তা জানতে চান।
উত্তর আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত সোমবারই নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার কথা। মঙ্গলবার তা আরও গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঝড়টি শক্তি বাড়িয়ে ওড়িশা থেকে বাংলাদেশের যে কোনও উপকূলে ল্যান্ডফল করবে। এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তার নাম হবে 'দানা'।
২০২০ সালে মৌসম ভবনের তরফে ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে যদি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তাহলে সেই তালিকা অনুযায়ী ঝড়ের নাম হবে ‘দানা’। এই নাম দিয়েছে কাতার। যদিও এই নামের সঠিক অর্থ কী তা নিয়ে ধন্দ আছে। কেউ বলেন, আরবি ভাষায় এই শব্দের অর্থ ‘সুন্দর এবং মূল্যবান মুক্তো’। আবার অন্য একটি সূত্র বলছে, আরবিতে 'দানা' শব্দের অর্থ ‘উদারতা’ বা ‘দান’। এখনও আবহাওয়া দফতরের তরফে এই নাম ঘোষণা করা হয়নি কারণ ঘূর্ণিঝড় তৈরিই হয়নি। তেমন পরিস্থিতি তৈরি হলে তবেই নাম ঘোষণা করা হবে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর ইতিমধ্যে জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে ঝোড়ো হাওয়া দিলে তার গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে মঙ্গলবার পর্যন্ত শুষ্ক আবহাওয়া থাকলেও 'দানা'র জেরে বুধবারের পর থেকে তার বদল ঘটতে পারে। বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। শুক্রবারের মধ্যে একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টিও হবে।
বুধবার থেকে শুক্রবার কলকাতাতে হালকা-মাঝারি বৃষ্টি শুরু হতে পারে। বৃহস্পতিবার বিক্ষিপ্তভাবে দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দক্ষিণের মতো উত্তরবঙ্গেও কার্যত এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে। দার্জিলিং থেকে মালদহ, সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে বুধবার থেকে। মূলত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সব জেলায়।