রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
শেষ আপডেট: 2nd July 2024 09:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চোপড়ায় তরুণ-তরুণীকে মাটিয়ে ফেলে পেটানোর ঘটনা নিয়ে সারা রাজ্য তোলপাড়। এমনকি এই নিয়ে দিল্লির রাজনীতিও আন্দোলিত, সরব হয়েছেন জেপি নাড্ডা থেকে শুরু করে বিজেপির প্রথম সারির নেতারা। এই পরিস্থিতিতে আজ, মঙ্গলবার, সকালেই চোপড়া যাচ্ছেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। দিল্লি থেকে সরাসরি চোপড়া যাবেন তিনি।
জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ দিল্লি থেকে বাগডোগরার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন রাজ্যপাল। সকাল ১০টায় বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামার কথা তাঁর৷ তারপরেই সড়কপথে সোজা পৌঁছবেন উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়। রাজভবন সূত্রে খবর, চোপড়ার নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি৷ সন্ধ্যায় সেখান থেকেই সোজা দিল্লিতে ফেরার কথা রাজ্যপালের। কেন্দ্রীয় সরকারকে রিপোর্ট দেবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই চোপড়ার ঘটনায় রাজ্যের থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন বোস। রিপোর্টে জানতে চাওয়া হয়েছে কোথায়, কবে এই ঘটনা ঘটেছে? ঘটনার ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? ঘটনার সময় পুলিশের ভূমিকা কী ছিল? ইত্যাদি নানা বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন আনন্দ বোস।
সোমবারই এক ভিডিও বার্তায় সিভি আনন্দ বোস বলেন, ''বাংলার প্রতিটি ক্ষেত্রে এখন খুন, ধর্ষণ, মারধরের ঘটনা ঘটে। বাংলার রাস্তায় রক্ত ছাড়া কিছুই দেখা যায় না। আর গ্রামগুলিতে মৃত্যুমিছিল হচ্ছে প্রতিদিন।'' এই প্রসঙ্গেই রাজ্যের পুলিশকে তুলোধনা করেন রাজ্যপাল। প্রশ্ন তোলেন, বাংলায় কি কোনও পুলিশবাহিনী রয়েছে? রাজ্যপালের কথায়, ''খাতায়-কলমে পুলিশ রয়েছে কিন্তু চোর আর পুলিশের মধ্যে পার্থক্য কমে আসছে। পুলিশের একটা বড় অংশ এমনকী কয়েকজন আইপিএস, আইএএস অফিসারদের মধ্যে অপরাধবোধ ঢুকে গেছে।''
রাজ্যপাল উল্লেখ করেন, "এর থেকে ‘জঙ্গল’ও ভাল।" চোপড়ার ঘটনার পাশাপাশি কলকাতার বৌবাজারে গণপিটুনি, মেডিক্যাল কলেজে পুলিশের লাঠিচার্জ নিয়েও চড়া বার্তা দেন তিনি। এর পরে আজই নিজে সরাসরি চোপড়া পৌঁছচ্ছেন রাজ্যপাল।
অন্যদিকে, চোপড়ার ঘটনা নিয়ে নড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসনও। শোকজ করা হয়েছে আইসি-কে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, বিধায়ক-ঘনিষ্ঠ তাজমুল ওরফে জেসিবিকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে আগেই। সোমবার রাজ্য পুলিশর তরফে টুইট করে বলা হয়, 'ইসলামপুর পুলিশের আওতায় চোপড়া এলাকার এক মারধরের ঘটনায় ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। পুলিশ দ্রুত অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করেছে। সুয়োমোতো মামলাও রুজু হয়। শুরু হয় তদন্ত। নির্যাতিতদের নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থাও করে পুলিশ। চোপড়া থানার আইসি-কে শোকজও করা হয়েছে এই ঘটনায়।'