শেষ আপডেট: 7th October 2024 18:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর সু্প্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা মজবুত করতে কড়া নির্দেশ দিয়েছিল। নবান্নর তরফে ইতিমধ্যেই একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 'রাত্রের সাথী' প্রকল্প শুরু করার কথা বলা হয়েছে। এই নিয়ে সোমবার বড় তথ্য দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। জানালেন, তিনদিনের মধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হবে।
সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যসচিব জানান, ‘রাত্তিরের সাথী’ নিয়ে আরও একবার রিভিউ বৈঠক হয়েছে। স্বাস্থ্যসচিব ছিলেন। এই প্রকল্পে ইতিমধ্যে ১১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ৪৫ শতাংশের বেশি সিসিটিভির কাজ হয়ে গেছে। এছাড়া ওয়াশরুম সংক্রান্ত ৬৫ শতাংশ কাজ এগিয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যসচিব। তিনি এও বলেন, ১৫ অক্টোবর থেকে পাইলট প্রজেক্টের কাজ শুরু হবে। সব ঠিক হলে প্যানিক বটন-এর কাজ শুরু হবে পয়লা নভেম্বর থেকে। এই প্রেক্ষিতে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যসচিব। তিনি এও বলেন, সবাই মিলে হাসপাতালের পরিষেবা আরও ভাল করার কাজ করছেন। আশা করা হচ্ছে দ্রুত পরিস্থিতি বদলাবে।
সম্প্রতি রাজ্যের হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে ৭ সদস্যের টিম গঠন করেছে নবান্নের। অবসরপ্রাপ্ত রাজ্য পুলিশের ডিজি তথা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিস স্টাডি সেন্টারের চেয়ারম্যান সুরজিৎ করপুরকায়স্থকে মাথায় রেখে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তকারী দলে রাজ্য পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত ডিজি ছাড়াও রয়েছেন কর্নেল এন পাল সিং, জয় বিশ্বাস, তাপস মাইতি, পুষ্পা, সৌম্য ভট্টাচার্য ও খলিদ কাইজার।
গত মাসে আবার ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে জরুরী বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রোগী পরিষেবা থেকে হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো এই মুহূর্তে ঠিক কোন পর্যায়ে, কতটা এগিয়েছে ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পের কাজ? এসব একাধিক বিষয় নিয়েই ওই বৈঠকে আলোচনা হয়।
রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার নির্দেশও যেমন সেখানে রয়েছে তেমনি স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য কাজের পরিবেশ তৈরির নির্দেশ-সহ একাধিক গাইডলাইনস দিয়েছে নবান্ন। সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন করে আগামী দু’মাসের মধ্যে নবান্নে রিপোর্ট জমা দেবে তদন্তকারী দল।