শেষ আপডেট: 26th October 2024 11:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পাকা ধান ঘরে তোলার সময় দেয়নি ঘূর্ণিঝড় দানা। শীতের সবজিও জলের তলায়! এক মাসের ব্যবধানে ফের বানভাসি পরিস্থিতি হওয়ায় কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না চাষিরা।
বাঁকুড়ার সারেঙ্গা থেকে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর, মেদিনীপুরের দাঁতন, মোহনপুর, পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা-কাঁথির উপকূলবর্তী এলাকা, গ্রামের পর গ্রামে রাতারাতি নেমে এসেছে হাহাকার। তথৈবচ হাল দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি জেলার একাংশে।
ঘূর্ণিঝড় দানার দাপটে মঙ্গলবার রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গে। বুধবার থেকে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়ে। যার জেরে বিঘার পর বিঘার জমির ফসল জলের তলায়। প্রায় ৮টি জেলার একাংশে চাষের বিপুল ক্ষতি হওয়ায় ফের সবজির দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চাষিদের কথায়, 'আগের বন্যার ধাক্কা সামলে উঠতে এবারের চাষটা খুব জরুরি ছিল। কিন্তু ভারী বৃষ্টিতে সব ফসল নষ্ট হয়ে গেল। খাব কী?'
প্রসঙ্গত, পুজোর মুখে গত সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে নিম্নচাপ এবং ডিভিসির ছাড়া জলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। নষ্ট হয়েছিল ফসল। ফের একই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় গ্রামের পর গ্রামে কার্যত শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
যদিও শুক্রবার নবান্নের বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ক্ষতিপূরণের বিষয়ে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। দ্রুত ক্ষতিপূরণ পৌঁছে দিতে রবিবারের মধ্যে সমীক্ষার কাজ সম্পূর্ণ করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।