শেষ আপডেট: 7th April 2022 01:30
দলের প্রতিটি স্তরে বয়সসীমা বেঁধে দিয়েছে সিপিএম (CPM)। যে কারণে বুধবার থেকে কেরলের (Kerala) কান্নুরে শুরু হওয়া পার্টি কংগ্রেস (Party Congress) যখন শেষ হবে ১০ তারিখ তখন বিমান বসু, এসআর পিল্লাইদের মতো বর্ষীয়ান নেতাদের কমিটির কাঠামো থেকে সরে যেতে হবে। কিন্তু তাতেও যে সবটা হবে না তা হয়তো ঠাওর করতে পারছেন সীতারাম ইয়েচুরিরা। সিপিএম সূত্রে খবর, ২৩তম পার্টি কংগ্রেসে দলের মধ্যে যুব ও মহিলা অংশের আকাল নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে খসড়া দলিলে।
সাংগঠনিক দুর্বলতা, বাংলা-ত্রিপুরার মতো একদা শক্তিশালী রাজ্যে ক্ষয়িষ্ণু হওয়ার কথা তুলে ধরে পার্টি কংগ্রেসে যাওয়া নেতাদের উদ্দেশে ১০ পয়েন্টের প্রেসক্রিপশন লিখেছে সিপিএম। বলা হয়েছে এই দাওয়াই প্রয়োগ করতে হবে রাজ্যে ফিরে।
১. পার্টি সদস্যদের মধ্যে যুব ও মহিলা অংশের আনুপাতিক হার বাড়াতে রাজ্য ইউনিটগুলিকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। নইলে পার্টি কাঠামো সঙ্কটের মুখে পড়বে।
২. রাজ্যে রাজ্যে বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রতিটি রাজ্য কমিটিকে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বাংলা ও ত্রিপুরার ক্ষেত্রে ছমাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে দলিল। উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় সামনের বছর ভোট রয়েছে।
৩. প্রতিটি সামাজিক ইস্যুতেই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করার মতো ন্যূনতম সাংগঠনিক শক্তি যাতে পার্টি অর্জন করে তার বন্দোবস্ত করতে হবে।
৪. পার্টি সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে মন দিতে বলা হয়েছে নেতাদের। বাংলার মতো রাজ্যে এখনও সিপিএমের অন্দরে এই ক্ষোভ রয়েছে যে পার্টি মেম্বারশিপ দেওয়ার ক্ষেত্রে তোমার লোক আমার লোক দেখা হয়। এই প্রবণতাকে সাংঘাতিক বলে উল্লেখ করেছে সাংগঠনিক খসড়া।
৫. পার্টির শাখা কমিটিগুলিকে প্রাণবন্ত করার কথা বলেছে সিপিএম।
৬. যুব অংশের মধ্যে থেকে ক্যাডার চিহ্নিত করে যাতে সর্বক্ষণের কর্মীতে রূপান্তরিত করা যায় সে ব্যাপারে নেতাদের আরও সময় দিয়ে, যত্ন নিয়ে কাজ করার কথা বলেছে বিদায়ী পলিটব্যুরো।
৭. মতাদর্শগত চর্চার ব্যাপারে পার্টি স্কুল গড়ে তোলার প্রশ্নেও বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হয়েছে।
৮. গ্রামাঞ্চলে ক্ষেত মজুর এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের মধ্যে যাতে পার্টির বিস্তার হয় সে ব্যাপারে ট্রেড ইউনিয়ন ও কৃষক ফ্রন্টকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে বলেছে সিপিএম।
৯. সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে দুর্বলতা স্বীকার করে নিয়ে পার্টি কংগ্রেসের দলিল বলেছে, দ্রুত এ ব্যাপারে রাজ্য ইউনিটগুলিকে রুটম্যাপ বের করতে হবে।
১০. গণসংগঠনের কাজে নাক না গলিয়ে, তারা যাতে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারে সে ব্যাপারে নেতাদের কার্যত হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন