এলাকার বাসিন্দা ইমরুল কোয়েস মণ্ডল, আক্কাস মোল্লারা বলেন, "আমাদের জীবন জেরবার করে দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। ঘর দেওয়ার নাম করে টাকা লুঠ চলছে। এখন বুঝতে পারছি ওরা গরীবের পাশে নেই।”
তৃণমূল অফিসে সিপিএমের পতাকা
শেষ আপডেট: 4 July 2025 13:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো, মুর্শিদাবাদ: ঘর দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা তোলার অভিযোগে উত্তাল ডোমকল। অভিযোগ উঠেছে ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের ভাই তথা ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি জাহাঙ্গীর মণ্ডলের বিরুদ্ধে। টাকা নিয়েও ঘর না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রায় ৫০টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগদান করেন। তারপরেই সিপিএম কর্মীরা দখল করেন ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কার্যালয়। উড়িয়ে দেন লাল পতাকা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি আবাসন প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু বছরের পর বছর কেটে গেলেও মেলেনি সেই ঘর। প্রতারণার শিকার পরিবারের সদস্যরা বলছেন, “আমরা ঘর চাই, রাজনীতি নয়। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি, এই অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করাই আমাদের রাজনীতি। এলাকার বাসিন্দা ইমরুল কোয়েস মণ্ডল, আক্কাস মোল্লারা বলেন, "আমাদের জীবন জেরবার করে দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। ঘর দেওয়ার নাম করে টাকা লুঠ চলছে। এখন বুঝতে পারছি ওরা গরীবের পাশে নেই।”
সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, তৃণমূলের দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ হয়েই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই তৃণমূল সমর্থকরা। সিপিএম এরিয়া কমিটির সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, "মানুষ বুঝতে পারছেন সব। চোখের সামনে দেখছেন তৃণমূল নেতাদের তিনতলা বাড়ি হচ্ছে, অথচ তাঁদের সেই ভাঙা ঘরেই থাকতে হচ্ছে। তাই ৫০টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগ দিয়েছে।"
ঘটনার নেপথ্যে রাজনীতির আঁচ স্পষ্ট হলেও, সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি জাহাঙ্গীর মণ্ডল। তাঁর দাবি, “এ সব মিথ্যা অভিযোগ। মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। তবে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই রয়েছেন।” ঘটনার জেরে ডোমকলে রাজনৈতিক উত্তাপ তুঙ্গে উঠেছে।