শেষ আপডেট: 1st February 2025 18:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাজেট ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, আয়কর ছাড় থেকে শুরু করে ওষুধের শুল্কে ছাড়, বিমা থেকে শুরু করে বিমানবন্দর, প্রবীণ নাগরিকদের সুবিধা থেকে নারীশক্তি, যুবসমাজ... সব ক্ষেত্রে এই বাজেট নজর দিয়েছে। আদতে এই বাজেট আমজনতার। কিন্তু বিরোধীরা বাজেট নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করতে ছাড়ছেন না। তৃণমূল, কংগ্রেস তো বটেই, বাম শিবিরও নিশানা করেছে কেন্দ্রকে। তাঁদের অভিযোগ, সব রাজ্যের দিকে নজরই দেওয়া হয়নি। বঞ্চিত করা হয়েছে বাংলা সহ একাধিক রাজ্যকে।
সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রীয় বাজেটের তীব্র সমালোচনা করেছেন বাম নেতা মহম্মদ সেলিম। তাঁর বক্তব্য, বাজেটে স্বাস্থ্য-শিক্ষার দিকে কোনও নজর দেওয়া হয়নি। যেহেতু দিল্লিতে এবং বিহারে নির্বাচন তাই সেই ভেবে বাজেট করা হয়েছে। সেলিমের কটাক্ষ, ''এটা ভারত সরকারের বাজেট নয়, বিহারের বাজেট। কাঁহি পে নিগাহে, কাঁহি পে ইশারা... আসলে বিহার ভোটের দিকে তাকিয়ে দিল্লিতে ইশারা করা হল।'' তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ সহ আরও একাধিক রাজ্যকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, এই বাজেটের ফলে ভারত বিকাশের দিকে আরও একধাপ এগোতে পেরেছে। ১৪০ কোটি ভারতীয়র আশা-আকাঙ্ক্ষার বাজেট ছিল এটা। প্রত্যেক ভারতীয়র স্বপ্ন পূরণ হবে এই বাজেটে। তাঁর স্পষ্ট কথা, এই বাজেটে একদিকে যেমন বিনিয়োগ বাড়বে, তেমনই সঞ্চয় বাড়বে। কিন্তু সেলিম কার্যত এই দাবিকে নস্যাৎ করেছেন।
তিনি পাল্টা বলেছেন, দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এই সরকার। সমদৃষ্টিতে সব রাজ্যকে দেখা হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে বহু রাজ্যকে। সব রাজ্যের উন্নতিসাধনে অনীহা রয়েছে কেন্দ্রের, এমনই অভিযোগ তাঁর। একাধিক ক্ষেত্র বাজেট ভাষণ থেকে বাদ পড়েছে বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন সেলিম। তাঁর কথায়, রেল নিয়ে আলাদা করে ঘোষণা করা হয়নি। বিগত কয়েক মাসে এত রেল দুর্ঘটনার পরও যাত্রী নিরাপত্তায় নজর দেয়নি কেন্দ্র।
বিভিন্ন সেক্টর বেসরকারিকরণ করার বিষয়টি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেলিম। তাঁর আশঙ্কা, এইভাবে একাধিক সেক্টর এভাবে বিদেশি শক্তির কাছে উন্মুক্ত করে দিলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। বর্তমানে দেশের চারপাশের যা পরিস্থিতি তাতে এই ধরনের সিদ্ধান্ত যে আখেরে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের ক্ষতি করবে তা স্পষ্ট।
রাজ্যের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অমিত মিত্রও দাবি করেছেন, এই বাজেট এক বিপর্যয় এবং গভীর ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়। তাঁর কথায়, দেশে বেকারত্বের হার প্রবল। সেখানে তাঁদের জন্য কিছুই ঘোষণা করা হয়নি।