শেষ আপডেট: 6th December 2023 20:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো, বারুইপুর: বাবার কাছে নিয়ে যাবে বলে ফুঁসলিয়ে বাড়ি থেকে বের করে। এরপর ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে চলে যৌন নির্যাতন। লাগাতার ধর্ষণ করে খুন করা হয় ৬ বছরের শিশুকন্যাকে। সেই 'নারকীয়' ঘটনায় অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা শোনাল বারুইপুর আদালত।
সময়টা ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই। সেসময় নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল। এক ৬ বছরের শিশুকে তার বাবার কাছে নিয়ে যাবে বলে কোলে করে বাড়ি থেকে বের হয় আজগর আলি খাদি মুন্সারি। কিন্তু বাবার কাছে না নিয়ে গিয়ে পাঁচিল টপকে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায় আজগর। তারপর বছর আটত্রিশের ওই ব্যক্তি নাবালিকাকে প্রথমে ধর্ষণ এবং পরে খুন করে জঙ্গলের মধ্যে ফেলে দেয়।
নাবালিকার বাবার সঙ্গে অভিযুক্ত কাজ করত। সেই সূত্র ধরেই নাবালিকার বাড়িতে যাতায়াত ছিল তার। ঘটনাটিতে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ৬ দিন পর ২১ জুলাই দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে আজগরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুরু হয় মামলা।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতিতাকে চিনত। তাই ঘটনার দিন অভিযুক্ত যখন বাবার কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাতে শিশুটির সন্দেহ হয়নি। ঘটনাটির পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। দোষীর কঠোর শাস্তির দাবি জানায় নির্যাতিতার পরিবার সহ স্থানীয়রা। অবশেষে আদালতে ফাঁসির সাজা মেলায় খানিকটা হলেও স্বস্তিতে নির্যাতিতার পরিবার।
সংশ্লিষ্ট মামলাটিতে বুধবার রায় ঘোষণা করেছে বারুইপুর আদালত। নাবালিকাকে অপহরণ, ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে ফাঁসির আদেশ নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত ডিস্ট্রিক্ট ও সেশান বিচারক সন্দীপ কুমার মান্না। এই প্রথম পকসো মামলায় অভিযুক্ত কাউকে ফাঁসির নির্দেশ দিল বারুইপুর আদালত। ধৃতের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩, ৩৬৫, ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। এদিন ফাঁসির সাজা ঘোষণার সময় বড় নির্যাতিতার পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।