শেষ আপডেট: 5th December 2023 14:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে এক কথা, আর সুপ্রিম কোর্টে অন্য কথা কেন? মঙ্গলবার নিয়োগ মামলার শুনানির প্রথম দিনেই কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চের তোপের মুখে পর্ষদ।
আদালত সূত্রের খবর, এদিন পর্ষদের ভূমিকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত জানিয়েছে, হাইকোর্ট এবং সুপ্রিমকোর্টে কেন দু’রকম কথা বলছেন, সেটা পরিষ্কার করে পর্ষদকে জানাতে হবে। এব্যাপারে সাত দিনের মধ্যে পর্ষদকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ।
নিয়োগ মামলায় দ্রুত তদন্ত শেষ করার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে নিয়োগ সংক্রান্ত সব মামলা ফিরেছে কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টের তরফে বিশেষ বেঞ্চও গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার ওই বেঞ্চের তরফেই পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
নিয়োগ সংক্রান্ত রাজ্যের সব মামলা গত ৯ নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে পাঠিয়েছিল শীর্ষ আদালত। বিশেষ বেঞ্চ এদিন জানিয়েছে, শীর্ষ আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল সেই নির্দেশ মত শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলা আগামীকাল বুধবার শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হল।
আদালত সূত্রের খবর, নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক মামলা রয়েছে। তার মধ্যে আরও নতুন আবেদন যুক্ত হবে কিনা বা একই ধরনের মামলা থাকলে মামলার সংখ্যা কমিয়ে এনে শুনানি করা হবে কিনা, এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে হাইকোর্টের নবগঠিত বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন মামলার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “এই সমস্ত মামলায় রাজ্যকে পার্টি না করেই এক তরফা ভাবে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ফলে এই মামলা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়।”
ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, সমস্ত প্যানেল যদি বাতিল করা হয় তাহলে বেশ কয়েক বছর চাকরি করার পর হঠাৎ করে এই কর্মরতদের বিতাড়িত করা হবে। তাই কোন আইনের বলে চাকরি বাতিল করা হবে সেটাও স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছে আদালত।