Date : 14th Jul, 2025 | Call 1800 452 567 | info@thewall.in
ভিন রাজ্যে বাংলা বললেই 'বাংলাদেশি'! ওড়িশায় আটকে বাংলা শ্রমিক, হাইকোর্টে মামলা‘কেউ আটকাতে পারবে না’ গেট টপকে শহিদদের শ্রদ্ধা জানালেন ওমর, কাশ্মীর পুলিশের ভূমিকায় অবাক মমতাভারতের প্যাকেটজাত খাবারে সতর্কবার্তা চাই, স্টার রেটিং নয়, কেন্দ্রকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের চপ-সিঙ্গারা-জিলিপির পাশে সিগারেটের মতোই সতর্কবার্তা, নাগপুর থেকে প্রচার শুরু এইমসেরএসএসসি-র সময়সীমা বাড়ল, তবু উপেক্ষিত স্পেশাল বি.এড প্রার্থীরা, ফের মামলা হাইকোর্টেস্বামী-স্ত্রীর গোপনে রেকর্ড করা ফোনালাপ, ডিভোর্স মামলায় গ্রহণযোগ্য সাক্ষ্যপ্রমাণ: সুপ্রিম কোর্টঝাড়গ্রামের জঙ্গল ফিরিয়ে আনছে প্রাণ, বাড়ছে হাতি-নেকড়ে-হরিণ, বনবিভাগে স্বস্তির হাওয়াEng vs Ind: চতুর্থ ইনিংসে ঋষভ পন্থের গড় ৫২, জাদেজা-সুন্দরদের পরিসংখ্যান কিন্তু ভীতিকরদু’বার বদলানো হয়েছিল ফুয়েল কন্ট্রোল ইউনিট, তাও ড্রিমলাইনার ভেঙে পড়ল কেন, উঠছে প্রশ্ন'ওরাই দেশটা শেষ করেছে!' কানাডায় আবর্জনা ফেলার ভিডিও ভাইরাল হতেই সমালোচনার মুখে ভারতীয়রা

বৈদ্যবাটিতে ধারালো অস্ত্রে ছিন্নভিন্ন যুগলের দেহ, ছটফট করতে করতেই মৃত্যু, রক্তে ভেসে গেল মেঝে

মাঠে নেমেছে ফরেন্সিক দল। তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। গোটা এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। 

বৈদ্যবাটিতে ধারালো অস্ত্রে ছিন্নভিন্ন যুগলের দেহ, ছটফট করতে করতেই মৃত্যু, রক্তে ভেসে গেল মেঝে

প্রতীকী ছবি

শেষ আপডেট: 3 July 2025 08:25

দ্য ওয়াল ব্যুরো: মাঝরাতে হঠাৎ চিৎকার, স্থানীয়রা গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় একটি বাড়ির মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে আছেন এক ব্যক্তি। ঘরের বাইরে মহিলারও একই অবস্থা। দু'জনই কাতরাচ্ছেন 'বাবা গো মা গো' করে। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঠিক কী কারণে মৃত্যু, তা বুঝতে পারছে না পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ধারালো অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।

হুগলির বৈদ্যবাটির ঘটনা। মৃতদের নাম মনীষ ভাদুড়ি (৩৫) ও অপর্ণা মাঝি (৩২)। তাঁরা বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সীতারাম বাগান এলাকায় গত ছয় বছর ধরে ভাড়া থাকতেন। মনীশের মূল বাড়ি রাজার বাগানে। প্রতিবেশী শুভেন্দু মাঝি জানিয়েছেন, মাঝরাতে চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙে যায় তাঁদের। অন্য প্রতিবেশীদের সঙ্গে ছুটে গিয়ে দেখেন, ঘরের ভিতর ও বাইরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন যুগল। তাঁরাই প্রথম রাজার বাগানে মনীষের আত্মীয়দের খবর দেন। পরে পুলিশে ফোন করেন।

শ্রীরামপুর থানার পুলিশ এসে দু’জনকেই নিয়ে যায় ওয়ালস হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানান, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের।

মনীষ একটি ঢালাই কারখানায় কাজ করতেন। অপর্ণা পরিচারিকার কাজ করতেন। একসঙ্গেই থাকতেন তাঁরা। মনীষ নেশাগ্রস্ত ছিলেন। মাঝেমধ্যে ঝগড়া হত এনিয়ে দু’জনের মধ্যে। প্রাথমিক অনুমান, নিজেদের মধ্যে হাতাহাতির সময় কোনও ধারালো বস্তু দিয়ে একে অপরকে আঘাত করেছেন তাঁরা। পুলিশের একাংশ অবশ্য বিষয়টিকে ‘মারামারির জেরে পরিণতি’ হিসেবে দেখতে নারাজ।

চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (শ্রীরামপুর) অর্ণব বিশ্বাস এবং আইসি সুখময় চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে পৌঁছন এদিন। তাঁরা জানিয়েছেন, খুন না আত্মহত্যা, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাইরে থেকে কেউ ঢুকে হামলা করেছে কি না, সেটিও তদন্তনাধীন।

এদিকে মাঠে নেমেছে ফরেন্সিক দল। তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। গোটা এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। 


ভিডিও স্টোরি