ফাইল ছবি।
শেষ আপডেট: 4 March 2025 16:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুধুই সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ নাকি নেপথ্যে সন্তানের কঠিন অসুখ? কসবা কাণ্ডে সন্তান-সহ দম্পতির রহস্য মৃত্যুর (Couple commits suicide in Kasba) ঘটনায় রহস্য ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে।
কসবা থানা এলাকার রথতলার পূর্বপল্লীর একটি বাড়ি থেকে মঙ্গলবার সকালে সোমনাথ রায় (৪০), তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা (৩৫) এবং আড়াই বছরের পুত্র রুদ্রনীলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে। যার ভিত্তিতে সম্পত্তি বিবাদের বিষয়টি সামনে আসে।
ওই ঘটনার তদন্তে নেমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এদিন সোমনাথের মামা, মামি এবং মাসীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সূত্রের খবর, সুইসাইড নোটে সম্পত্তি বিবাদের কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি নিজের মামা ও মামির বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগও এনেছে সোমনাথ।
যদিও ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। পেশায় অটোচালক সোমনাথের প্রতিবেশী এবং কয়েকজন অটো চালকের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, সোমনাথের আড়াই বছরের ছেলে রুদ্রনীল জন্ম থেকেই কঠিন অসুখে আক্রান্ত। তাঁর চিকিৎসার খরচ জোগাড় করার জন্য কিছুদিন আগে নিজের একটি অটোও বিক্রি করে দিয়েছিলেন সোমনাথ।
ফলে শুধুই মামার সঙ্গে সম্পত্তি গত বিবাদ নাকি সন্তান সুস্থ হবে না বুঝতে পেরেই সপরিবারে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
যদিও সোমনাথের মামা-মামির বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ এনেছেন সোমনাথের শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সোমনাথের স্ত্রী সুমিত্রার বাবার অভিযোগ, "সোমনাথের বাবার জমি দখল করে গত কয়েক বছর ধরে রয়েছে ওর মামা, মামি এবং মাসি। এমনকী সোমনাথকেই ওর বাবার জমি, বাড়ি থেকে বহুবার উৎখাতের চেষ্টাও করেছে।"
তাঁর আরও অভিযোগ, "ওই মামা, মামির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই ওরা নিজেদেরকে শেষ করে দিল।" যদিও এ বিষয়ে সোমনাথের মামা প্রদীপ কুমার ঘোষ যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। সূত্রের খবর, প্রদীপবাবুও আগে কলকাতা পুলিশের কর্মী ছিলেন।