শেষ আপডেট: 24th March 2022 08:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বহু বছর পুরকর দেননি বিধাননগরের সিংহভাগ বাসিন্দা। এবার তাদের বকেয়া কর মেটাতে হবে। সেই সঙ্গে বহু বছর পর করের হারও বৃদ্ধি করতে চলেছে বিধাননগর পুরনিগম (Bidhannagar Budget)।
চলতি আর্থিক বছরে ২৯৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে নতুন পুরবোর্ড (Bidhannagar)। এরমধ্যে বর্ধিত হারে নতুন করদাতাদের কাছ থেকে কর আদায় আছে। এছাড়া আছে বকেয়া আদায়। বর্ধিত হারে কর আদায় করা হবে মূল সল্টলেকের ১০টি ওয়ার্ড এলাকায়। যেখানে নগরোন্নয়ন দফতর নিজেদের উদ্যোগে পরিকল্পিত উন্নয়ন করেছিল।
এক সরকারি আধিকারিক জানান, সল্টলেকে ১৯৯৯ সালের পর আর সম্পত্তির মূল্যায়ন করা হয়নি। ফলে পুরনো মূল্যায়নের ভিত্তিতে নতুন হারে কর নিলেও দেখা যাচ্ছে করের পরিমাণ তেমন উল্লেখযোগ্য হবে না। কারণ, ১৯৯৭ সালের পর আর করের হারও বাড়েনি।
সল্টলেকের কর কাঠামো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিধাননগর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সঙ্গে রাজ্য সরকারের মামলা চলছিল। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট এক মামলায় রায় দিয়েছে পুরসভার কর আদায়ে আর কোনও বাধা নেই।
বর্তমানে বিধাননগর পুর নিগমের বকেয়া করের পরিমাণ ৪২ কোটি টাকা। এরমধ্যে সল্টলেক এলাকায় বকেয়ার অঙ্ক হল, ১৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা। ২৯ কোটি ৯ লাখ বকেয়া রাজারহাট - গোপালপুর এলাকায়। ওই এলাকা দুটি পরবর্তীকালে সল্টলেকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তৈরি।হয় বিধাননগর পুর নিগম।
বিধাননগর পুর নিগমের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা পানীয় জল সরবরাহ, জঞ্জাল পরিস্কার, নিকাশি ব্যবস্থার পরিচর্যা, কোনও কিছুর জন্যই চার্জ নিই না। সরকারের অর্থে মূল খরচ সামাল দেওয়া হয়। এখন বাসিন্দাদের কাছ থেকে অন্তত পুরকর আদায় করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
পুরকর প্রদান নিয়ে কী বলছেন বিধাননগরের বাসিন্দারা? সামগ্রিক বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে, মামলাকারি কুমারশংকর সাধুর বক্তব্য, সল্টলেকে পুর পরিষেবার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। আশাকরি বাসিন্দারা কর মেটাতে আপত্তি করবেন না।
বগটুইয়ে পোড়া বাড়ির লোকেদের হাতে হাতে চেক বিলি মমতার, ক্ষতিপূরণ নিয়ে দর কষাকষি