শেষ আপডেট: 19th October 2023 12:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০২৩ সালের ২ জুন। অভিশপ্ত সেই দিনের কথা হয়তো আমৃত্যু ভুলতে পারবেন না সেদিনের করমণ্ডল এক্সপ্রেসের বহু 'জীবিত' যাত্রী। বাংলা থেকে রওনা হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ওড়িশার বলেশ্বর জেলার বাহানাগা বাজারের কাছে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল শালিমার থেকে চেন্নাইগামী এই ট্রেন। ভুলবশত একই লাইনে ঢুকে পড়া উল্টোদিক থেকে আসা একটি মালগাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছিল এই এক্সপ্রেস ট্রেনের।
করমণ্ডলের ২৩টি কামরা উঠে গিয়েছিল মালগাড়ির উপর। শুধু তাই নয়, পাশের লাইন দিয়ে যাওয়া যশবন্তপুর থেকে হাওড়াগামী হামসফর এক্সপ্রেসে ছিটকে গিয়ে ধাক্কা মেরেছিল করমণ্ডলের কয়েকটি লাইনচ্যুত কামরা। ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৯৬ জন যাত্রী। আহতের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছিল।
দুর্ঘটনাগ্রস্থ সেই করমণ্ডল এক্সপ্রেস, হামসফর এক্সপ্রেস এবং মালগাড়িটির ক্ষতিগ্রস্ত কামরাগুলি সম্প্রতি নিলাম করা হয়। প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুরের ডিভিশনাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আদালতে ক্ষতিগ্রস্ত কামরা, ইঞ্জিন ও ওয়াগনগুলি নিলাম করার আর্জি জানিয়ে পিটিশন দাখিল করেছিল রেল। তাতে আদালত এই দুর্ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিবিআই-এর কাছে জানতে চেয়েছিল, ক্ষতিগ্রস্ত কামরা যদি নিলামে ওঠে তাহলে তদন্তে কোনও সমস্যা হবে কিনা।
উত্তরে সিবিআই জানায়, যেহেতু ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়ে গেছে, তাই দুর্ঘটনাগ্রস্থ কামরাগুলি বিক্রি করে দেওয়া হলে কোনও সমস্যা নেই। এরপর গত মঙ্গলবার ভুবনেশ্বরের একটি আদালতের তরফেও কামরাগুলি নিলামের জন্য সবুজ সংকেত দেওয়া হয়।
কিন্তু এই ওয়াগন, ইঞ্জিন এবং ক্ষতিগ্রস্ত কামরা বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া গেছে তা খুব একটা বেশি নয়। সূত্রের খবর, ২১ টি কামরা, ইঞ্জিন ও ওয়াগন স্ক্র্যাপ হিসেবে বিক্রি করে রেলের আয় হয়েছে মাত্র ৩ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা।